শান্তিগঞ্জ প্রতিনিধি ::
শান্তিগঞ্জ উপজেলায় দেখার হাওর, খাউয়াজুড়ি হাওর, খাই হাওর ও জামখলা হাওরসহ ছোট বড় মোট ৮টি হাওরে এবছর ৬৪টি বেড়ি বাঁধ সংস্কার, পুনঃনির্মাণ ও নির্মাণকাজ করা হবে। কাজগুলোর বিপরীতে ইতোমধ্যে সকল প্রক্রিয়া মেনে গঠন করা হয়েছে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি বা পিআইসি। সকল পিআইসিতে স্থান পাওয়া সভাপতি, সাধারণ স¤পাদক ও সদস্যদের নিয়ে কর্মশালা করেছে শান্তিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড।
শুক্রবার বিকাল ৪টায় শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরের ঝিলমিল অডিটোরিয়ামে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব ও পরিচালনা করেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুকান্ত সাহা। এসময় বক্তব্য রাখেন- সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ইমদাদুল হক, পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড. মল্লিক মইনুদ্দিন সোহেল, শান্তিগঞ্জ জামায়াতে ইসলামের আমির হাফিজ আবু খালেদ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবীব, বাঁধ মনিটরিং কমিটির সদস্য ও দরগাপাশা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন, রওশন খান সাগর, ইমদাদুর রহমান, শান্তিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মোমিন মিয়া, পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান জায়গীরদার খোকন, পশ্চিম পাগলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জগলুল হায়দার, শান্তিগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজি জমিরুল ইসলাম মমতাজ, সাংবাদিক নূরুল হক, আবু সাঈদ, শান্তিগঞ্জ প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ ইয়াকুব শাহরিয়ার, কৃষক ও ইউপি সদস্য রঞ্জিত সূত্রধর, আঙ্গুর মিয়া, আবদুল মজিদ ও নবী হোসেন।
বক্তব্যে নির্ধারিত সময়ে সঠিক নিয়মে স্বচ্ছভাবে বাঁধের কাজ শেষ করার তাগিদ দেন প্রশাসনিক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি পিআইসি’র পক্ষ থেকেও নির্ধারিত সময়ে সঠিক নিয়মে স্বচ্ছভাবে বাঁধের কাজ শেষ করার নিশ্চয়তা প্রদান করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষকরা। কর্মশালায় প্রতিটি প্রকল্পের সকল সাধারণ স¤পাদক ও সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, শান্তিগঞ্জ উপজেলার ৮টি হাওরে মোট ৬৪টি প্রকল্পে কাজ করবে পিআইসি কমিটিগুলো। উপজেলার সবচেয়ে বড় হাওর দেখার হাওরে ১৬টি, কাউয়াজুড়ি হাওরে ১৬টি, খাই হাওরে ১৩টি, কাঁচিভাঙায় ৭টি, জামখলা হাওর ৭টি, সাংহাই হাওরে ২টি, চাইল্লানি হাওর ২টি ও দামাই হাওরি ১টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সবগুলো কাজের মোট বরাদ্দ প্রায় ৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাঁধে মাটি কাটা, দুরমুজ করা, ড্রেসিং করা, পানি ছিটানো, ঘাস লাগানো ও বিপজ্জনক জায়গায় বাঁশসহ যাবতীয় ব্যবহার্য্য জিনিসপত্র ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে। ১৫ ডিসেম্বর আবশ্যিকভাবে কাজ শুরু করে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাধ্যতামূলক কাজ শেষ করার নির্দেশ আছে।
উল্লেখ্য, পিআইসি গঠনের জন্য চলতি মাসের ১ তারিখ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত কমিটির জন্য ১৮১টি আবেদন জমা পড়ে। যাচাই-বাছাই শেষে পাঁচ জায়গায় পৃথক গণশুনানি করে ৬৪টি কমিটিকে অনুমোদন দেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পাউবো কর্মকর্তা।