সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের যৌথ পরিকল্পনার ফল ছিল বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে তার এই বক্তব্য প্রকাশ করা হয়।
খামেনি বলেছেন, সিরিয়ায় যা ঘটেছে, সেটির মূল পরিকল্পনা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের কমান্ড রুমে। আমাদের কাছে এর প্রমাণ রয়েছে। সিরিয়ার এক প্রতিবেশী সরকারও এতে ভূমিকা রেখেছে।
যদিও তিনি সরাসরি কোনও দেশের নাম উল্লেখ করেননি। তবে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, তিনি তুরস্ককে ইঙ্গিত করেছেন। তুরস্ক দীর্ঘদিন ধরে আসাদবিরোধী বিদ্রোহীদের সমর্থন দিয়ে আসছে। ন্যাটো সদস্য তুরস্ক সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে একাধিক অভিযান চালিয়ে কুর্দি ওয়াইপিজি মিলিশিয়াদের দমন এবং আসাদের পতনে সহযোগিতা করেছে।
ইরান দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সিরিয়ার আসাদ সরকারকে টিকিয়ে রাখতে আর্থিক সহায়তা এবং বিপ্লবী গার্ড বাহিনী মোতায়েন করেছে। আসাদের পতনের পরও ইরান ও সিরিয়ার মধ্যকার সম্পর্ক অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা জানিয়ে ইরান একটি সর্বসমন্বিত সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছে, যেখানে সিরিয়ার সব অংশের প্রতিনিধিত্ব থাকবে।
খামেনি আরও বলেন, অধিক চাপ প্রয়োগ করা হলে প্রতিরোধ আরও শক্তিশালী হয়। অপরাধ যত বাড়বে, প্রতিরোধ ততই দৃঢ় হয়। লড়াই যত বাড়বে, প্রতিরোধ ততই সম্প্রসারিত হয়। তিনি দাবি করেন, ইরান শক্তিশালী এবং আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। বক্তব্যে তিনি ইরান নেতৃত্বাধীন প্রতিরোধের অক্ষ জোটকে সমগ্র অঞ্চলে আরও শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি দেন। সূত্র: রয়টার্স