দেশে গণঅভ্যুত্থানের অস্থির পরিস্থিতির রেশ এখনও কাটেনি। বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন ঘটনা ঘটে চলেছে। সামগ্রিক বিবেচনায় শতভাগ সামাল দেওয়া একেবারেই অসম্ভব। কিন্তু তারপরও বলা চলে পরিস্থিতি অনেকটাই শান্ত হয়ে আসার পথে এগিয়ে চলেছে। দেশজুড়ে পুলিশ বাহিনীর প্রশাসনিক অনুপস্থিতিসঞ্জাত নিষ্ক্রিয়তা গ্রামে গ্রামান্তরে পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে চলেছে প্রতিকারহীন অবস্থায় নীরবে। দেশের যে-কোনও পরিস্থিতিতে এমন অবস্থা আবির্ভূত হওয়া কোনও সভ্য ও সুশীল সমাজে কাম্য হতে পারে না। বাংলাদেশে যা হয়ে থাকে অনেকটা স্বাভাবিকভাবে, যা প্রমাণ করে এই দেশের মানুষের একাংশ দুুর্বৃত্তমনোবৃত্তিসম্পন্ন বর্বর। এমতাবস্থায় তথাপিও আগামী কয়েক দিনের ভেতরে হয় তো পূর্ণ স্বাভাবিকতায় ফিরবে দেশ। এই আশা করছেন দেশের সর্বস্তরের মানুষ।
পূর্ণ স্বাভাবিকতার কথা উঠেছে। কারও কারও মতে বাংলাদেশের জন্যে এবংবিধ অর্থাৎ ‘পূর্ণ স্বাভাবিক অবস্থা’ কেবল কল্পনায়ই সম্ভব বাস্তবে নয়। কারণ এই দেশে এক শ্রেণির প্রভাবশালী রাজনীতিবিদেরা সভ্যতার নামে অসভ্যতার চর্চা করতে ভালোবাসেন ও তাতে তারা দারুণ অভ্যস্ত। এমনকি তারা শিক্ষাঙ্গনকে পর্যন্ত সন্ত্রাসের সূতিকাগারে পরিণত করতে কসুর করেন না। জনগণের রক্তশোষণ করতে পারঙ্গম তাদের আত্মসাৎ ও সন্ত্রাসপ্রবণ এই রাজনীতিকে রাজনীতি বলা যায় না। সম্প্রতি কোটাসংস্কার আন্দোলন সে-বাস্তবতারই মুখোশ উন্মোচন করেছে এবং প্রতিপন্ন করেছে দেশ আর সে-শোষণভিত্তিক রাজনীতির পুনরুত্থান চায় না। বাংলাদেশে যাকে স্বাভাবিক বলে ভাবা হয় তা আসলে অস্বাভাবিকতারই একটি মুখোশ পরা রূপ, যে-অস্বাভাবিকতাকে সহজে চেনা যায় না।
এখানে প্রচলিত গণতন্ত্রের ভেতরে লুকিয়ে থাকে স্বৈরতন্ত্র, শান্তির মোড়কে অশান্তি, ন্যায়ের ভেতরে অন্যায়, আইনি বৈধতার ভেতরে অবৈধতা, বান্ধবতার ভেতরে শত্রুতা, সত্যের ভেতরে মিথ্যা, স্বাধীনতার ভেতরে দাসত্ব, সেবার প্রতিশ্রুতির ভেতরে প্রভুত্বের শয়তানি। এই ‘স্বাভাবিকের মুখোশ পরা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি’ দেশের মানুষ চায় না, তা যে-কোনও রাজনীতিক দল বা মতাদর্শের নামেই হোক না কেন। এই ‘স্বাভাবিকের মুখোশ পরা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি’র বদল ঘটাতে হলে অর্থাৎ আসলেই স্বাভাবিক হতে গেলে এই দেশের মানুষের মনের পরিবর্তন হতে হবে, পরিবর্তন হতে হবে তার সংস্কৃতির, সর্বোপরি তার অর্থনীতির ও সেইসঙ্গে চাই জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার প্রচলন। জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা চালু করতে না পারলে জনগণের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাওয়ার মানুষের এখানে অভাব হবে না এবং ‘আকাশের যতো তারা পুলিশের ততো ধারা’ প্রবচনটিতে বর্ণিত অবস্থার বাস্তবতা অবাস্তব হয়ে উঠবে না কখনওই।
পূর্ণ স্বাভাবিকতার কথা উঠেছে। কারও কারও মতে বাংলাদেশের জন্যে এবংবিধ অর্থাৎ ‘পূর্ণ স্বাভাবিক অবস্থা’ কেবল কল্পনায়ই সম্ভব বাস্তবে নয়। কারণ এই দেশে এক শ্রেণির প্রভাবশালী রাজনীতিবিদেরা সভ্যতার নামে অসভ্যতার চর্চা করতে ভালোবাসেন ও তাতে তারা দারুণ অভ্যস্ত। এমনকি তারা শিক্ষাঙ্গনকে পর্যন্ত সন্ত্রাসের সূতিকাগারে পরিণত করতে কসুর করেন না। জনগণের রক্তশোষণ করতে পারঙ্গম তাদের আত্মসাৎ ও সন্ত্রাসপ্রবণ এই রাজনীতিকে রাজনীতি বলা যায় না। সম্প্রতি কোটাসংস্কার আন্দোলন সে-বাস্তবতারই মুখোশ উন্মোচন করেছে এবং প্রতিপন্ন করেছে দেশ আর সে-শোষণভিত্তিক রাজনীতির পুনরুত্থান চায় না। বাংলাদেশে যাকে স্বাভাবিক বলে ভাবা হয় তা আসলে অস্বাভাবিকতারই একটি মুখোশ পরা রূপ, যে-অস্বাভাবিকতাকে সহজে চেনা যায় না।
এখানে প্রচলিত গণতন্ত্রের ভেতরে লুকিয়ে থাকে স্বৈরতন্ত্র, শান্তির মোড়কে অশান্তি, ন্যায়ের ভেতরে অন্যায়, আইনি বৈধতার ভেতরে অবৈধতা, বান্ধবতার ভেতরে শত্রুতা, সত্যের ভেতরে মিথ্যা, স্বাধীনতার ভেতরে দাসত্ব, সেবার প্রতিশ্রুতির ভেতরে প্রভুত্বের শয়তানি। এই ‘স্বাভাবিকের মুখোশ পরা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি’ দেশের মানুষ চায় না, তা যে-কোনও রাজনীতিক দল বা মতাদর্শের নামেই হোক না কেন। এই ‘স্বাভাবিকের মুখোশ পরা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি’র বদল ঘটাতে হলে অর্থাৎ আসলেই স্বাভাবিক হতে গেলে এই দেশের মানুষের মনের পরিবর্তন হতে হবে, পরিবর্তন হতে হবে তার সংস্কৃতির, সর্বোপরি তার অর্থনীতির ও সেইসঙ্গে চাই জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার প্রচলন। জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা চালু করতে না পারলে জনগণের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাওয়ার মানুষের এখানে অভাব হবে না এবং ‘আকাশের যতো তারা পুলিশের ততো ধারা’ প্রবচনটিতে বর্ণিত অবস্থার বাস্তবতা অবাস্তব হয়ে উঠবে না কখনওই।