স্টাফ রিপোর্টার ::
মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সাবেক সংসদ সদস্য কমরেড বরুণ রায়ের পঞ্চদশ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এই স্মরণসভার আয়োজন করে কমরেড বরুণ রায় স্মৃতি সংসদ।
শিক্ষাবিদ ধূর্জটি কুমার বসু’র সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন প্রফেসর পরিমল কান্তি দে, কমরেড বরুণ রায়ের সহধর্মিণী নারীনেত্রী শীলা রায়, রমেন্দ্র কুমার দে মিন্টু।
জেলা উদীচীর সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন কবি ও লেখক কুমার সৌরভ, সুখেন্দু সেন, দৈনিক সুনামকণ্ঠ’র সম্পাদক ও প্রকাশক বিজন সেন রায়, লেখক নির্মল ভট্টাচার্য, অ্যাডভোকেট খলিল রহমান, নারীনেত্রী শরীফা আশরাফী শম্পা প্রমুখ।
স্মরণসভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মানব চৌধুরী, এমডি মইন উদ্দিন, অধ্যক্ষ সবিতা বীর, পাঞ্চালী চৌধুরী, গৌরী দাস, অর্পণা দেবি রিপা, সাইদুর রহমান আসাদ, তানভীর আহমেদ প্রমুখ।
সভায় কমরেড বরুণ রায়ের বর্ণাঢ্য জীবন নিয়ে আলোকপাত করেন বক্তারা। তারা বলেন, কমরেড বরুণ রায় জীবনভর মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করেছেন। মেহনতি মানুষের মুক্তিই ছিল তাঁর রাজনীতির লক্ষ্য। বরুণ রায়ের রাজনৈতিক আদর্শ তরুণদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক, সৎ ও নিরহংকার রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তাঁর কারণে সুনামগঞ্জবাসী আজ গর্বিত। কমরেড বরুণ রায়ের আদর্শগত চেতনাকে ধারণ করতে পারলে আগামী প্রজন্ম উপকৃত হবে। মানুষকে বাঁচানোর উপায় হলো বারবার বরুণ রায়দের মতো জনগণের কাছে ফিরে আসা। তাঁদের নিয়ে ভাবা এবং আদর্শের রাজনীতি করা। রাজনীতিকে তাহলে বাঁচানো যাবে। সর্বোপরি আমাদের জাতিকে রক্ষা করতে হলে কমরেড বরুণ রায়ের মতো মানুষকে বারবার স্মরণ করতে হবে। তাঁদের জীবনী থেকে শিক্ষা নিতে হবে।
এর আগে বিকাল ৫টায় সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বরুণ রায়ের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।