স্টাফ রিপোর্টার ::
জামালগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ৬ জনকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। আহত দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
রবিবার সকালে উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের কালীবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- ওই এলাকার মৃত রমজান আলীর ছেলে জীবন মিয়া (৫৫), আওয়াল মিয়া (৪৬) ও মেয়ে সাজেদা বেগম (৪০), জীবন মিয়ার ছেলে রকিবুল ইসলাম (২৬), আবু তাহের মোল্লার মেয়ে আশুরা আক্তার রুপা (৩০) ও জীবন মিয়ার স্ত্রী সেফালী বেগম (৫০)। এরমধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জীবন মিয়া ও তার ছেলে রকিবুল ইসলামকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের কালীবাড়ী গ্রামের জীবন মিয়ার ছেলে মারুফের সাথে খাসভূমি বন্দোবস্তের দখল নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে মৃত আলী আজগরের ছেলে আব্দুল করিমের। এ নিয়ে আব্দুল করিমের বিরুদ্ধে মারুফ মিয়ার একটি দায়ের করা অভিযোগ উপজেলা প্রশাসনের তদন্তাধীন আছে। রবিবার সকালে প্রতিদিনের মত মারুফের পিতা জীবন মিয়া তার নতুন নির্মাণাধীন ঘরের পাশে কাজ করছিলেন। এসময় বিবাদী পক্ষের আব্দুল করিমের ভাই মমিন মিয়া মারুফের বাড়িতে গিয়ে বিভিন্ন প্রকার ছোট ছোট গাছ কাটতে শুরু করেন। এতে জীবন মিয়া বাধা দিলে মমিন মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে এই জমি তার বন্দোবস্ত নেয়া আছে দাবি করে হাতে থাকা দা দিয়ে উপর্যুপরি হামলা শুরু করেন। হামলার মুহূর্তেই আব্দুল করিম তার দলবলসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মারুফের বাড়িতে হামলা চালান। এসময় মারুফের পিতা আহত জীবন মিয়ার চিৎকারে মারুফের চাচা ও তার পরিবারের লোকজন ঘর থেকে ছুটে আসলে অস্ত্রের এলোপাতাড়ি কোপে সকলেই আহত হন। এসময় জীবন মিয়া ও তার ছেলে রকিবুল ইসলাম গুরুতর আহত হলে তাদের চিৎকারে গ্রামবাসী এসে আব্দুল করিমের লোকজনের হাতে থাকা রামদাসহ বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অস্ত্রগুলো গ্রামবাসীর জিম্মায় রয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা ফোন বন্ধ করে গা ঢাকা দেওয়ায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শ. ম কামাল হোসেইন জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এ ব্যাপারে মামলা করতে চাইলে মামলা নেয়া হবে।