স্টাফ রিপোর্টার ::
বাউল কামাল পাশা (কামাল উদ্দিন)-এর ১২৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকাল ৫টা হতে রাত ১২টা পর্যন্ত জেলা শিল্পকলা একাডেমির হাছনরাজা মিলনায়তনে বাউল কামাল পাশা সংস্কৃতি সংসদ সুনামগঞ্জ ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির যৌথ উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
জেলা বিএনপি নেতা সেলিম উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে ও বাউল কামাল পাশা সংস্কৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক আল-হেলালের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহ আলম মহীউদ্দিন, সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু, দৈনিক ইনকিলাব প্রতিনিধি হাসান চৌধুরী, জেলা অধিকার আহ্বায়ক মুহাম্মদ আমিনুল হক, সাংবাদিক একে কুদরত পাশা, কবি রহমান তৈয়ব ও জাতীয়তাবাদী বাউল দলের সদস্য সচিব হাকিম আফতাব উদ্দিন প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক সুনামকণ্ঠ সম্পাদক বিজন সেন রায়, সাংবাদিক শিল্পী রওনক আহমদ বখত, বিটিভি শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ, সাংবাদিক জসীম উদ্দিন, মাছুম হেলাল, সিরাজুল ইসলাম শ্যামল, আনোয়ারুল হক, মানব তালুকদার, ফরিদ মিয়া, বাবুল মিয়া, সুরমা ইউপি সদস্যা মোছা. তানজিনা বেগম, সাংবাদিক আব্দুল কাইয়ুম, আব্দুল বাছির, এন.ডি উসমান গণি প্রমুখ।
পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কামালগীতি পরিবেশন করেন প্রবীণ বাউল শিল্পী তছকীর আলী, সাংবাদিক বাউল আল হেলাল, বাউল শফিকুন নূর, বাউল আমজাদ পাশা, বাউল আব্দুল কাইয়ুম, সাংবাদিক শহীদনুর আহমদ, কামালপাশা সংস্কৃতি সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজু আহমদ রমজান, বাউল রাসেল আহমদ, বাউল সাদিক খান, মো. শাহ আলম, বাউল আইনুদ্দিন, মো. সালাউদ্দিনসহ স্থানীয় শিল্পীবৃন্দ।
সভায় বক্তারা বলেন, সুনামগঞ্জ জেলার ৫ প্রধান লোককবির মধ্যমণি বাউল কবি গানের সম্রাট কামাল পাশা। গত সরকারের শাসনামলে জেলা প্রশাসন এই লোকায়িত কবি প্রতিভাকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করার জন্য একাধারে ৯ বার সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব প্রেরণ করলেও ফ্যাসিস্ট সরকার মহান এই সংগীতগুরুর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করেছে। তারা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাউল কামাল পাশাকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দানের জন্য সরকারের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।