হোসাইন আহমদ ::
বিএনপির কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটি ও সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিজান চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে খুনী, দুর্নীতিবাজ, হত্যাকারী, লুটেরার দল। আওয়ামী লীগ যতবার বাংলাদেশে ক্ষমতায় এসেছে তারা ততবার গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। শুধু গণতন্ত্রকে হত্যা করে নাই। পুরো বাংলাদেশকে হত্যা করে দিয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে হত্যা করেছে, পুলিশ বাহিনীকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বিচার বিভাগকে ধ্বংস করে দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে ধ্বংস করে দিয়েছে। খুনি হাসিনা বাংলাদেশের ছাত্র জনতাকে গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে। বিএনপির শতশত নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে। শেষ হাসিনা গণহত্যাকারী। তাই আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সকারের কাছে হাসিনার ফাঁসি দাবি করছি। তাকে অবিলম্বে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এসে ফাঁসি দিতে হবে।
বৃহ¯পতিবার (০৫ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টায় শান্তিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরের ঝিলমিল অডিটোরিয়ামে এই কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে করে বলেন, বিএনপির দুর্দিন কেটে গেছে। এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের সুদিন ফিরে এসেছে। তাই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দলে দলে লাইন ধরে বিএনপির পতাকা তলে ভিড় করছে। আমরা এই সভায় পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই যারা এই ১৬ বছর আওয়ামী লীগ করে বিএনপির নেতাকর্মীদের অত্যাচার, নির্যাতন, হামলা, মামলা করেছে, ফ্যাসিস্ট হাসিনার সুবিধা নিয়েছে। সেই সব আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিএনপিতে জায়গা হবে না। আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রকারীদের কাউকে বিএনপির নেতাকর্মীরা ছাড় দেবে না। বিএনপিকে নেতৃত্বে দিবে বিএনপির নেতাকর্মীরা।
তিনি আরও বলেন, অতি দ্রুত তারেক রহমানের উপর থেকে সকল মামলা প্রত্যাহার এবং তাঁকে দেশে ফিরে আসার সুযোগ করে দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বেই এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে এবং আগামীতে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনও তাঁর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হবে। আমরা মনে করি, অতি দ্রুত তারেক রহমানে বীরের বেশে এদেশে ফিরে আসবেন।
কর্মী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন- সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক, সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রিয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক স¤পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, যারা কমিটিতে স্থান পেতে আগ্রহী তারা আগামী ৮ ও ৯ তারিখ আহবায়ক ও যুগ্ম-আহ্বায়ক পদের জন্য জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে ফরম সংগ্রহ করতে পারবেন। ১১ তারিখ ফরম জমা দিতে হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই আগামী ১০/১৫ দিনের মধ্যে উপজেলা বিএনপির ২১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হবে। যিনি আহ্বায়ক হিসেবে নির্বাচিত হবেন তিনি সভাপতি পদে প্রার্থী হতে পারবেন না।
জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ স¤পাদক ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাড. নুরুল ইসলাম নুরুলের পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাড. মল্লিক মঈন উদ্দিন সুহেল, নাদের আহমদ, আনছার উদ্দিন, ফারুক আহমদ, আকবর আলী, অ্যাড. শেরেনূর আলী, রেজাউল হক, সেলিম উদ্দিন আহমদ, আবুল কালাম আজাদ, আবদুল মুকিত, মোনাজ্জির হোসেন সুজন, নূর আলী, শান্তিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ স¤পাদক এটিএম হেলাল, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম, জেলা যুবদলের যুগ্ম-স¤পাদক তোফাজ্জল হোসেন ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইকবাল হোসেন।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- উপজেলা বিএনপি নেতা জালাল উদ্দিন, আউয়াল উদ্দিন, ইলিয়াছ মিয়া, লুৎফুর রহমান, আমিনুর রশিদ আমিন, আওলাদ হোসেন, ফরিদুর রহমান ফরিদ, মোজাহিদ আলী, নিজাম উদ্দিন, সিরাজ মিয়া, সলিব নূর বাচ্চু, আসাদুজ্জামান আসাদ, তোফায়েল আহমদ, আবুল কাশেম নাইম, আবদাল মিয়া, আঙ্গুর মিয়া, নাজমুল হোসাইন, লুৎফুর রহমান জায়গীরদার খোকন, সাইকুল ইসলাম, চেরাগ আলী ও দুবাই কারাবরণকারী নেতা আলী আহমদ।
অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন- বিএনপি নেতা সৈয়দ আহমদ, ফজলুর রহমান, শামছুদ্দিন, ফখর উদ্দিন কনু শাহ, সামছুন নূর মেম্বার, উপজেলা বিএনপি নেতা জিয়াউর রহমান জিয়া, খলিলুর রহমান খলিল মেম্বার, আঙ্গুর মিয়া, হুমায়ুন কবির, জুসেল আহমদ, উপজেলা ওলামাদলের সভাপতি সজীব আহমদ, দরগাপাশা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা জাফরুল হোসেন, সুনামগঞ্জ জেলা কৃষকদল নেতা অজিত দাস, সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক ফরমান উদ্দিন, যুবদল নেতা ফরিদ গাজী, জিলানী মিয়া, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হোসাইন আহমদ, উপজেলা কৃষকদল নেতা ফারুক আহমদ, ইউপি সদস্য মাহবুবুর রহমান, জসিম উদ্দিন, গোলাম রব্বানী, ইউপি সদস্য লিটন মিয়া, মিজানুর রহমান, হারুন মিয়া, শাহীনুল ইসলাম, জুনু মিয়া, উপজেলা যুবদলের সাবেক আহবায়ক সুহেল মিয়া, জয়কলস ইউনিয়ন যুবদল নেতা আশরাফ উদ্দিন, দরগাপাশা যুবদল নেতা শ্যামল চৌধুরী ও প্রজন্মদল নেতা রোমান আহমদ। এসময় উপজেলা বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ওলামা দল, কৃষক দল, প্রজন্মদল ও ছাত্রদলের আরও নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।