গণমাধ্যমে (দৈনিক সুনামকণ্ঠ : ২ ডিসেম্বর ২০৪) প্রকাশ, “সুনামগঞ্জে ২০২৪-২০২৫ মওসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় আশানুরূপ ফলন পেয়েছেন চাষীরা। এ পর্যন্ত প্রায় ৫০ ভাগের বেশি ধান কাটা শেষ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে আরো প্রায় ৩ হাজার মেট্রিক টন ধান উৎপাদন সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।” এমন খবরে জনসমাজে ধান-চালের দাম কমে সহনীয় মাত্রায় নেমে আসবে এই স্বাভাবিক প্রত্যাশা জাগ্রত হয়েছে। এর বিপরীতে রাজনীতিক সমাজ, যাঁরা রাষ্ট্র পরিচালনা করেন, তাঁদের কাছে প্রত্যাশা করা হচ্ছে যে, তাঁরা ধান-চালের দাম কমিয়ে আনার ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু উচ্চ মুনাফা নিশ্চিতকরণে দারুণ দক্ষ মুক্তবাজার অর্থনীতি দেশের ভেতরে চালু রেখে ব্যাপারটা বলা যতো সহজ করাটা ততোটাই নয়, বরং তার চেয়েও বহুগুণে কঠিন। কারণ ধানের দাম বাড়ানো হয় মজুদ প্রক্রিয়া চালু রেখে বাজারে চাহিদার চেয়ে যোগান কমিয়ে দিয়ে এবং সেটা করা হয় দেশের ধান-চালের বাজার নিয়ন্ত্রকদের চক্র (সিন্ডিকেট) তৈরি করে। এবংবিধ চক্র ভাঙতে না পারলে কোনও দিনই ধান-চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে নামানো যাবে না। আপাতত আমরা এর বেশি কীছু বলতে চাই না। বলতে গেলে কথায় কথা বাড়বে। কেচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে পড়বে। অন্তর্বর্তী সরকারকে কেবল বলি, ধান-চালের ব্যবসা নিয়ন্ত্রকদের চক্র গড়ে তোলে বেশি মুনাফা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বেশি দামে ধান-চাল বিক্রি করার চক্রান্তকে বানচাল করে দিয়ে জনসমাজের পকেট কাটা প্রতিহত করুন।