স্টাফ রিপোর্টার ::
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের পিরিজপুর গ্রামের রক্তি নদীর সংলগ্ন রেকর্ডিয় ডোবা থেকে জোরপূর্বক মাছ লুট করেছে দুর্বৃত্তরা। রবিবার দিন-দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ৫ লাখ টাকার মাছ, কাটা, জাল ও বাঁশের ক্ষতি হয়েছে।
সোমবার সকালে পিরিজপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. আলা উদ্দিন, মো. হেলাল মিয়া, মো. আবু কাহার, মো. বুরহান মিয়াসহ অনেকে জানান, গ্রামের বাসিন্দা ও ইউপি সদস্য আব্দুল হেকিম এই ডোবার জায়গা ক্রয়সূত্রে মালিক হয়েছেন। গত দুই বছর ধরে এই ডোবায় মাছের চাষ করে আসছেন তিনি। কিন্তু গ্রামের কিছু চিহ্নিত লোক পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই লুটের ঘটনা ঘটায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামের বাসিন্দা অনেকে জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র নামধারী বখাটে কিছু লোক দিয়ে ওইদিন ডোবায় লুটের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। সাথে ছিল গ্রামের কতিপয় চিহ্নিত লোক। এমন ঘটনা গ্রামে কখনও ঘটেনি।
ডোবার মালিক আব্দুল হেকিম বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে আমার নিজস্ব মালিকানা ডোবায় মাছের চাষ করে আসছি। মামলার কাজ থাকায় ঘটনার দিন সকালে সুনামগঞ্জে শহরের আদালতে আসি। এই সুযোগে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে আমার রেকর্ডিয় ডোবায় পিরিজপুর গ্রামের বাসিন্দা লিটন মিয়া, সবুজ মিয়া, শাওন মিয়া পিতা মনির উদ্দিন, মহিবুর মিয়া পিতা আজিজ মিয়া, আলম হোসেনসহ আরও কয়েকজন মাছ লুট করে নিয়ে যায় এবং আমার ডোবায় মাছের অভয়াশ্রমের বাঁশ, কাটা ও জালের ব্যাপক ক্ষতি করে।
তিনি আরও বলেন, এসব লোক আমার কাছে মাসে মাসে চাঁদা চাইতো। আমি তাদেরকে চাঁদা দেইনি। এই কারণে আমার উপর ক্ষুব্ধ হয়ে দিন-দুপুরে ডোবায় মাছ লুটের ঘটনা করে। এমনকি প্রতিনিয়ত আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে তারা। লুটের মোবাইলে ভিডিওচিত্র ধারণ করা হয়েছে। এটা আমাদের সংরক্ষণে আছে। সুষ্ঠু বিচার পেতে সোমবার দুপুরে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১১জনকে গং রেখে আমরা বিশ্বম্ভরপুর থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
বিশ্বম্ভরপুর থানার এস.আই মতিয়ার রহমান বলেন, রবিবার দুপুরে ফতেপুর ইউপি সদস্য আব্দুল হেকিম আমাকে ফোন দিয়ে ঘটনাটি জানিয়েছিলেন। সোমবার অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।