স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জের ফলের বাজার স্থান পরিবর্তনের কারণে ক্রেতা শূন্য হয়ে পড়েছে নতুন ফলের বাজার। গত প্রায় তিন মাস আগে সুনামগঞ্জ জেলা স্টেডিয়ামের দক্ষিণ-পশ্চিম পার্শ্বে এই ফল বাজার স্থানান্তর হয়। এরপর থেকে প্রতিনিয়ত বাজার ক্রেতা শূন্য থাকায় চরম বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
একাধিক ব্যবসায়ী জানান, বিক্রি কমে যাওয়ায় তাদের সাংসারিক খরচ, সন্তানের লেখাপড়ার খরচ, ওষুধ খরচসহ জীবনজীবিকার সার্বিক খরচ যোগান দেয়া অসম্ভব হয়ে পড়ছে। তারা আরও জানান, বিক্রি না হওয়ায় প্রতিদিন আঙ্গুর, আপেল, কমলা, মালটা, ডালিম, ড্রাগন প্রভৃতি ফলে পচন ধরছে এবং ডাস্টবিনে ফেলতে হচ্ছে। এতে প্রতি ব্যবসায়ী লোকসানের বোঝা বড় হচ্ছে। পরিবারে খরচ মেটানো এখন অসম্ভব হয়ে পড়েছে তাদের। এহেন অবস্থায় পরিবারের লোকজন দুশ্চিন্তায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। প্রতিদিন সাংসারিক খরচ যোগান দিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকানে ঋণের খাতা ভারি হচ্ছে। ঋণ পরিশোধের তাগদায় যাতায়াত রাস্তা ছেড়ে বিকল্প পথে চলতে হচ্ছে।
অপরদিকে, ফলের খুচরা ক্রেতা সাধারণ পুরাতন বাজার ফলের দোকান না পেয়ে বাসায় খালি হাতে ফিরছেন। অনেকে জানেন না যে ফলের দোকানগুলো অন্যত্র স্থানান্তর হয়েছে। এই শীত মওসুমে নতুন নতুন ফল বাজারে আসবে এবং ক্রেতাদের হাতে পৌঁছবে। কিন্তু এখন ফলের বাজারে ক্রেতা না থাকায় খুচরা ব্যবসায়ীরা বেশি ফল দোকানে আনতে সাহস পাচ্ছেন না। কারণ বিক্রি নাই, তাই ফল পঁচে বেশি।
ক্রেতা আব্দুল করিম বলেন, আমার সন্তানদের জন্য ফল নিতে দোকান খুঁজে পাইনি বেশ কয়েক দিন ধরে।
ক্রেতা সাজাউল হক বলেন, লোক সমাগম স্থানে ফলের বাজার হলে সবার জন্য ভাল। এখন যে জায়গায় নেওয়া হয়েছে, এটা চলাচলের মেইন রাস্তা নয়।
ফল ব্যবসায়ী আব্দুর রউফ বলেন, এই ফলের ব্যবসা করলাম সারা জীবন। এখন বাদ দেওয়ার চিন্তা করছি। প্রায় তিন মাসে লস হয়েছে হাজার হাজার টাকা। আবার ঋণও হয়েছি লক্ষ টাকা। এখন এই ব্যবসায় পরিবারের চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়। সন্তানের লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম। আমরা আশা করি, ব্যবসাবান্ধব স্থানে প্রশাসন আমাদের ফলের দোকান স্থানান্তরে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।