স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোহনপুর ও কাঠইর ইউনিয়ন নিয়ে বিস্তৃত ডাকুয়ার হাওরে ফসলরক্ষা বাঁধ না থাকায় প্রতি বছরই অরক্ষিত থাকে হাওরের প্রায় ১০০ হেক্টর জমি। তাই ফসলের নিশ্চয়তার জন্য ভৈষবেড়-মোহনপুর ও পৈন্দা-ভৈষবেড় বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন হাওরের কৃষকরা। ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণের এই মওসুমে প্রকল্প দেওয়ার জন্য এবার দাবি তুলেছেন কৃষকরা।
কৃষকরা জানান, ডাকুয়ার হাওরে দুটি ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের প্রায় ১০০ হেক্টর বোরো জমি রয়েছে। ডাকুয়ার হাওরে মোহনপুর, পৈন্দা, ভৈষবেড়, শাখাইতি, নোয়াগাঁও, গুলেরগাঁও, কাঠইর, কলাইয়া, শান্তিপুরসহ অন্তত ১০টি গ্রামের কৃষকরা বোরো চাষ করেন। সুরমা নদী পুরাতন সুরমা নদীতে পানি বাড়লেই নদীর তীর উপচে সহজে হাওরে পানি প্রবেশ করে ফসলহানির ঘটনা ঘটে।
তাই কৃষকরা ফসলের সুরক্ষায় ভৈষবেড় থেকে মোহনপুর মাদরাসা পর্যন্ত ও বৈষভেড় থেকে পৈন্দা বাজার পর্যন্ত বাঁধ দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন। এখানে দুটি বাঁধ হলে কখনো হাওরের ফসলডুবি ঘটবেনা বলে জানান তারা। গত বছর এসিল্যান্ড অফিস, কৃষি অফিস ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও আশরাফুল সিদ্দিকীও সরেজমিন গিয়ে বাঁধের প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে মতামত দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক কারণে প্রকল্পটি বাঁধ পড়ে। বঞ্চিত থাকে ১০ গ্রামের মানুষ। এবার মওসুমের শুরুতে আবারও বাঁধের দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা। তারা এ জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির জেলা সভাপতি জেলা প্রশাসক ও সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদনের প্রস্তুতি নিয়েছেন।
মোহনপুর গ্রামের কৃষক আব্দুর রহমান বলেন, ডাকুয়ার হাওরটি প্রতি বছর অরক্ষিত থাকে। আমরা বারবার দাবি জানালেও গত সরকার আমাদের দাবি শুনেনি। ভৈষবেড়-মোহনপুর ও ভৈষবেড় পৈন্দা পর্যন্ত বাঁধ দেওয়া হলে আমাদের ফসল সুরক্ষিত থাকবে। তাই এবার প্রকল্প দেওয়ার জন্য আমরা জোর দাবি জানাই।
ইউপি সদস্য সফর আলী বলেন, ভৈষবেড়-মোহনপুর ও ভৈষবেড়-পৈন্দা পর্যন্ত বাঁধ দেওয়া জরুরি। এটি হলে ফসলের সুরক্ষার পাশাপাশি মানুষের নানামুখি উপকার হবে। সহজে হাওর থেকে ধান পরিবহনসহ যাতায়াতেরও সুবিধা হবে। তাই কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের দাবি এখানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প দেওয়া হোক।