স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থার বেহাল দশা। অনেক এলাকায় ড্রেনের উপর স্ল্যাব না থাকায় এগুলো ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এসব ময়লা-আবর্জনা পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে ড্রেনগুলো সংস্কারের উদ্যোগ না নেয়ায় দিন দিন অবস্থা আরও বেহাল হচ্ছে। এতে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। পৌরবাসী দ্রুত ড্রেনগুলো সংস্কার ও পরিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন।
সরেজমিনে গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার পৌর শহরের ষোলঘর, নবীনগর, কাজিরপয়েন্ট, প্রিয়াঙ্গন মার্কেট, বিহারী পয়েন্ট, হাসননগর, সুলতানপুর, তেঘরিয়া, নতুনপাড়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অনেক স্থানে ড্রেনের স্ল্যাব নেই। ময়লা-আবর্জনায় অনেক ড্রেন ভরাট হয়ে গেছে। ড্রেনে ময়লা-আবর্জনা ফেলায় ড্রেনগুলো দিয়ে পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অনেক স্থানে ড্রেনগুলো ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এ থেকে ছড়িয়ে পড়ছে দুর্গন্ধ। এগুলো আবার মশা-মাছির ‘নিরাপদ’ আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে।
ভুক্তভোগী নাগরিকদের অভিযোগ, বিভিন্ন এলাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থার বেহাল অবস্থা থাকলেও তা পর্যাপ্ত সংস্কার কাজ হচ্ছে না। আবার কোনও কোনও এলাকায় পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থাও নেই। অনেক এলাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই ড্রেন উপচে পানি সড়কে ওঠে। এছাড়া ময়লা-আবর্জনা জমে থাকায় ড্রেন প্রতিনিয়ত ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ।
ষোলঘর এলাকার বাসিন্দা সাব্বির আহমেদ বলেন, আমাদের এখানে যে ড্রেনগুলো রয়েছে তাতে সবসময়ই দুর্গন্ধ ছড়ায়। অনেক ড্রেনে ঢাকনা নেই। যার কারণে অনেকেই ড্রেনে ময়লা-আবর্জনা ফেলছেন। এগুলো দ্রুত সমাধান করা দরকার। পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে সবগুলো ড্রেনের ওপর ঢাকনা দেয়ার দাবিও জানান তিনি।
শহরের আলীপাড়া এলাকার বাসিন্দা আলীনূর বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ড্রেনগুলো পরিষ্কার ও সংস্কার না করায় এগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক। ড্রেনের মধ্যে অনেকে ময়লা-আবর্জনা ফেলে দেয়। এগুলো পচে দুর্গন্ধ ছড়ায়। এছাড়া অনেক জায়গায় ডাস্টবিন নেই। বাধ্য হয়ে মানুষজন ড্রেনেই ময়লা ফেলে।
ষোলঘরের বাসিন্দা পপি হালদার বলেন, ড্রেন যেন মশার কারখানা। মশার যন্ত্রণায় দরজা-জানালা বন্ধ করেও ঘরে থাকা দায় হয়ে পড়েছে। এছাড়া ড্রেনগুলো ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এর দুর্গন্ধে আমরা অতিষ্ঠ। জনভোগান্তি লাঘবে পৌর কর্তৃপক্ষ দ্রুত উদ্যোগ নেবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
প্রিয়াঙ্গন মার্কেটের ব্যবসায়ী জুবায়ের কবির বলেন, শহরের বেশিরভাগ ড্রেনের উপর ঢাকনা নেই। অসচেতন মানুষজন ড্রেনের মধ্যে ময়লা আবর্জনা ফেলে। এগুলো পচে দুর্গন্ধ ছাড়ায়। তাছাড়া পানি নিষ্কাশনও বাধাগ্রস্ত হয়। আমরা চাইবো দ্রুত সময়ের মধ্যে যেন পৌর কর্তৃপক্ষ এবিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নেয়।
নবীনগরের বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, অন্তত এই সরকারের আমলে শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নতি আমরা দেখতে চাই।
সুনামগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী কালীকৃষ্ণ পাল বলেন, ড্রেনগুলো পরিষ্কারের কাজ চলমান আছে। তারপর শহরের ড্রেনগুলো সংস্কারের কাজ করা হবে।