দিরাই প্রতিনিধি ::
দিরাই পৌরশহরের কলেজ রোড, শাল্লা রোড, শ্যামারচর ও দিরাই-সুনামগঞ্জ রোডের চৌমোহনায় বাসস্টেশন হওয়ায় সকাল থেকে সন্ধ্যা যানজট লেগেই থাকে। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হয় শাল্লা ও খালিয়াজুড়ি উপজেলাসহ ওই উপজেলার চরনারচর, রাজানগর, সরমঙ্গল ও করিমপুর ইউনিয়নের হাজারো মানুষকে।
দিরাই সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী নিশাত ও মীম বলেন, আমাদের বাসা থেকে কলেজে যেতে সময় লাগে ১৫-২০ মিনিট। আর অধিকাংশ দিন যানজটের কারণে বাসস্টেশন অতিক্রম করতে সময় লাগে ১৫-২০ মিনিট। অনেক দিন যানজটের কারণে সময় মতো কলেজে পৌঁছতে না পাড়ায় প্রথম ক্লাস মিস হয়। শহরের ব্যস্ততম এলাকা থেকে বাইরে বাসস্টেশন স্থানান্তর হোক এটা আমাদের প্রাণের দাবি।
সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন উপজেলা সাধারণ স¤পাদক নুরুল আজিজ চৌধুরী বলেন, পৌরশহরের ব্যস্ততম কলেজ রোড, শাল্লা, শ্যামারচর ও দিরাই-সুনামগঞ্জ সড়কের চৌমোহনায় বাসস্টেশন হওয়ায় সকাল থেকে সন্ধ্যা যানজট লেগেই থাকে। শাল্লা, খালিয়াজুড়ি উপজেলাসহ আমাদের উপজেলার চারটি ইউনিয়নের হাজারো মানুষের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা হওয়ায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শহরের চৌমোহনী থেকে পৌরসভার বাইরে বাসস্টেশন স্থানান্তরের জন্য সুজন, হাওর বাঁচাও আন্দোলন, বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রদান করলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। রাজনীতির বেড়াজালে হাওরবাসীর গুরুত্বপূর্ণ এ দাবিটি আজও আলোর মুখ দেখেনি। বর্তমান নির্দলীয় সরকারের কাছে আমাদের জোর দাবি, লাখো মানুষের সুবিধা ও পৌরশহরকে যানজট মুক্ত করতে কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
দিরাই পৌরসভার প্রশাসক অভিজিৎ সূত্রধর বলেন, পৌরশহরের বাইরে বাসস্টেশন স্থানান্তর বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অচিরেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসবে বলে আমরা আশাবাদী।