স্টাফ রিপোর্টার :: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, প্রতি বছর পাঠ্যবই ছাপানোর সময় কিছু না কিছু ভুল-ভ্রান্তি দেখা যায়। সরকার চেষ্টা করছে নির্ভুল পাঠ্যবই বের করার। ছাপানো বই হাতে পেলে বোঝা যাবে কতটা নির্ভুল হলো। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকালে সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। ডা. বিধান রঞ্জন বলেন, এই স্কুল ঘিরে আমার অনেক স্মৃতি রয়েছে। এখানে আমি ক্লাস সিক্স থেকে পড়ালেখা করেছি। আমার বাড়ি প্রত্যন্ত মধ্যনগর উপজেলায়। সেখান থেকে স্কুলে আসতে আমাদের সময়ে ১২ ঘণ্টা লাগতো। এখন অনেক কম সময় লাগে। এই লঞ্চঘাট, নাইটস্কুল ঘিরে আমার অনেক স্মৃতি রয়েছে। পড়াশোনার জন্য এই শহরে থেকেছি। আবার যখন স্কুল বন্ধ হত, তখন আবার লঞ্চে করে বাড়ি যেতাম। অনেক সময় লঞ্চ বন্ধ থাকলে তখন নৌকায় করে যেতাম। আমার মনে হয় জুবিলী স্কুলসহ দেশের সকল প্রাচীন বিদ্যালয়গুলোকে বিশ্বের দরবারে আমাদের তুলে ধরা উচিত। তিনি বলেন, জিপিএ-৫ শুধুমাত্র শিক্ষার একমাত্র মানদ- হতে পারে না। একজন শিক্ষার্থী জ্ঞান, মানবিকতা, নীতি-নৈতিকতা সব দিক থেকে নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। একজন সুনাগরিক হতে হবে। দেশ-জাতি গঠনের ভূমিকা পালন করতে হবে। উপদেষ্টা আরও বলেন, স্কুলের মাঠে খেলাধুলা ছাড়া অন্যকিছুর আয়োজন করা ঠিক নয়। খেলাধুলায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি টিম ওয়ার্ক গড়ে ওঠে, এটি অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই। তাই স্কুলের মাঠে খেলাধুলার জন্য থাকতে হবে। স্কুলে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম অব্যাহত রাখা উচিত। এতে মেধাবী শিক্ষার্থীরা মানসম্মত লেখাপড়ার সুযোগ পাবে। এর আগে, বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বছর শেষ ক্লাস পার্টি কেক কেটে উদযাপন করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা। পরে শৈশবে কাটানো পুরো বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ, বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস ও পুরনো সেই লঞ্চঘাট ঘুরে দেখেন। এ সময় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।