
ধর্মপাশা প্রতিনিধি ::
ধর্মপাশা উপজেলার কংস নদী জলমহালের একটি অংশে উপজেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য খায়রুদ্দিনের (৩৪) নেতৃত্বে গত ২৮ অক্টোবর থেকে অবৈধভাবে মাছ শিকার কার্যক্রম চলে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের বাসিন্দা ও রূপকথা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি মো. আবুল মিয়া (৫৩) সোমবার দুপুরে জলমহালটিতে অবৈধভাবে মাছ শিকার বন্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
উপজেলা প্রশাসন ও রূপকথা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার কংস নদী জলমহালটি ১৪২৮বঙ্গাব্দ থেকে ১৪৩৩বঙ্গাব্দ পর্যন্ত ছয় বছরের জন্য উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বাৎসরিক ৬১ লাখ ৬৪ হাজার ৬০৭টাকা ইজারামূল্যসহ অন্যান্য পাওনাদি পরিশোধ সাপেক্ষে এটি ইজারা পায় উপজেলার ধর্মপাশা সদর ইউনিয়নের রূপকথা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড।
উপজেলা রূপকথা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি ও জলমহালটির ইজারাদার মো. আবুল মিয়া (৫৩) বলেন, এই জলমহালটি আমরা বৈধভাবে ইজারা নিয়েছি। যথারীতি ইজারামূল্য পরিশোধ করে আসলেও আমাদের কাছে সরকারের এখনো ২৬ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। এই জলমহালটির একটি অংশ উপজেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য ও উপজেলার টানমেউহারী গ্রামের বাসিন্দা খায়রুদ্দিনের বাড়ির তীরবর্তী হওয়ায় তিনি স্থানীয় জেলেদের দিয়ে জলমহালটির আতকাপাড়া থেকে গুলুয়া বাজার পর্যন্ত অংশে অবৈধভাবে গত ২৮অক্টোবোর থেকে মাছ শিকার কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। এতে বাধা দিলেও কোনো কাজ হচ্ছে না। অবৈধভাবে মাছ শিকার বন্ধ না হলে আমাদের কাছে সরকারের পাওনা ২৬লাখ টাকা পরিশোধ করা কোনোভাবেই সম্ভব হবে না। এ নিয়ে আমি ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি।
উপজেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য খায়রুদ্দিন বলেন, আমার নেতৃত্বে জলমহালটির যে অংশে মাছ শিকার করা হচ্ছে সেই অংশটি আমি উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীর কবীরের কাছ থেকে আট লাখ টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছি।
তবে আলমগীর কবীরের সঙ্গে কথা বলার জন্য তার মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন বলেন, এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অবৈধভাবে মাছ শিকার বন্ধে খুব শিগগিরই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।