স্টাফ রিপোর্টার ::
বাংলাদেশ প্রান্তিক পোল্ট্রি শিল্প রক্ষা অ্যাসোসিয়েশন সুনামগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বেলা ২টায় জেলা মডেল মসজিদের ৪র্থ তলা কনফারেন্স হলে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন খামারি দেলোয়ার হোসেন। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রান্তিক পোল্ট্রি শিল্প রক্ষা অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. মফিজুল ইসলাম মল্লিক। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন জেলা শাখার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন, শিক্ষক আলী হোসাইন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান।
এছাড়াও সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক স¤পাদক এবিএম বখতিয়ার, সদস্য খামারি মো. শাখাওয়াত হোসেন, খামারি জসিম উদ্দিন লিটন।
আলোচনা সভায় বক্তারা খামারিদের ছয় দফা দাবি উত্তাপন করেন। তম্মধ্যে ১. প্রথম দাবি : ব্রয়লার মুরগির ৫০ কেজি প্রতি বস্তা খাদ্যের দাম ২০০০ থেকে ২১০০ টাকার মধ্যে আনতে হবে এবং খাদ্যের মান বৃদ্ধি করতে হবে। লেয়ার ও সোনালীসহ অন্যান্য মুরগির খাদ্যের দাম ৫০ কেজি প্রতি বস্তা ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকার মধ্যে আনতে হবে। ২. দ্বিতীয় দাবি : ব্রয়লার লেয়া সোনালীসহ সকল প্রকার মুরগির বাচ্চার দাম বাৎসরিক ভাবে ২০ থেকে ২৫ টাকার মধ্যে আনতে হবে এবং বাচ্চার মান বৃদ্ধি করতে হবে। ৩. তৃতীয় দাবি : খাদ্য ও বাচ্চা উৎপাদনকারী কো¤পানিগুলো তারা নিজেরা ব্রয়লার লেয়ার ও সোনালীসহ সকল প্রকার রেডি মুরগি ও ডিম উৎপাদন করে বাজার সিন্ডিকেট করে, তাই খামারিরা ধ্বংসের পথে। সেই ক্ষেত্রে কো¤পানিগুলোর রেডি মুরগি ও ডিম উৎপাদন করা বন্ধ করতে হবে। ৪. চতুর্থ দাবি : আমরা প্রণোদনার টাকা চাইনা আমরা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মাননীয় অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে অনুরোধ থাকবে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা উপজেলায় ৩০০ জন নিবন্ধিত খামারিকে স্বল্পসুদে সহজ শর্তে প্রতি ১০০০ মুরগি পালনকারী খামারিকে কমপক্ষে ৩ (তিন) লক্ষ টাকা ব্যাংক ঋণ দিতে হবে। ৫. পঞ্চম দাবি : প্রতি একজন খামারি দশ হাজার মুরগির উপরে কোন প্রকার রেডি মুরগি উৎপাদন করতে পারবে না। ৬. ষষ্ঠ দাবি : অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জোর দাবি পোল্ট্রি শিল্পের বৈষম্য ও সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে ডিম ও মুরগি সাধারণ জনগণের ক্রয়-ক্ষমতার মধ্যে রাখতে বাংলাদেশের প্রতিটি সিটি, মহানগর, পৌরসভা, জেলা, উপজেলায়, আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে মুরগির আড়ৎ গঠন করার লক্ষ্যে সরকারি খাস জমি ফ্রিতে দিতে হবে। আলোচনা সভা শেষে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট সুনামগঞ্জ জেলা কমিটি গঠন করা হয়।