স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জের শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি আন্দোলনসহ সুকুমার বৃত্তি চর্চার প্রতিষ্ঠান শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরির ৬৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে লাইব্রেরির হলরুমে অনুষ্ঠিত সভায় প্রশাসনের কর্মকর্তারা, পাঠাগারের সদস্য, লেখক, গবেষক, কবিসহ পাঠাগারের শুভাকাক্সক্ষীরা অংশ নেন। জেলা প্রশাসক ও পাঠাগারের সভাপতি ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়ার সভাপতিত্বে এতে মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত সচিব (অবসরপ্রাপ্ত) ড. মোহাম্মদ আলী খান।
সভায় ড. মোহাম্মদ আলী খান বলেন, গৌরবের সাথে সুনামগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি এগিয়ে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে হাঁটি হাটি পা-পা করে আজ ৬৫ বছরে পৌঁছেছে। যুগের পর যুগ পারি দেওয়া এতোটুকু সহজ ছিলো না, আমি মনে করি সবার সহযোগিতা ও পরামর্শে নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে এই লাইব্রেরি।
তিনি আরও বলেন, শুরুতে এর নাম ছিল সুনামগঞ্জ পাবলিক লাইব্রেরি। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর নামকরণ হয় একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার নামে, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাঠাগার। তবে সঙ্গে ব্র্যাকেটে সুনামগঞ্জ পাবলিক লাইব্রেরি যুক্ত ছিল। সর্বশেষ নামকরণ হয়েছে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি। আমি মনে করি জগৎজ্যোতির নাম যুক্ত করে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করা হয়েছে।
শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি’র সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. খলিল রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ ধূর্জটি কুমার বসু, অ্যাড. হুমায়ুন মঞ্জুর চৌধুরী, প্রফেসর পরিমল কান্তি দে, কবি ও গবেষক ইকবাল কাগজী, কবি সুখেন্দু সেন, দৈনিক সুনামগঞ্জের ডাক সম্পাদক ও প্রকাশক এবং সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ শেরগুল আহমেদ, মোরশেদ আলম, দৈনিক সুনামগঞ্জের খবর স¤পাদক পঙ্কজ কান্তি দে, আবুল হোসেন, সিদ্ধার্থ আচার্য প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, দুর্গম এই হাওরাঞ্চলে শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতিচর্চায় নিরলস ভূমিকা রাখছে ঐতিহ্যবাহী শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি। প্রতিষ্ঠানটিকে জাতির মনন গঠনের কাজে আরো মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযুদ্ধা আবু সুফিয়ান, প্রভাষক মশিউর রহমান, সাংবাদিক এআর জুয়েল, আমিনুল হক প্রমুখ।