স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন কার্যালয়ে স্বাস্থ্য সহকারী পদে নিয়োগের চূড়ান্ত ফলাফলের উপর চলতি বছরের গত মে মাসের ৭ তারিখ প্রকাশিত ফলাফলের বিরুদ্ধে ৯ মে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে অভিযোগ করেন নিয়োগবঞ্চিত প্রার্থী সীমা রানী রায়। ওই পদে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রার্থী হলেন জগন্নাথপুর উপজেলার ৫নং চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নের ০৩নং ওয়ার্ড (সাবেক/পুরাতন) এর স্বাস্থ্য সহকারী সুপারিশপ্রাপ্ত নাছিমা আক্তার যার রোল নং- ২৪৫০১৯০২৪৭১। তার লিখিত পরীক্ষায় পেপার জালিয়াতি, নিয়োগে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও ভুয়া বহিরাগত স্থায়ী ঠিকানা দিয়ে চাকরিতে যোগদান করায় তার বিরুদ্ধে চলতি বছরের ১৬ জুলাই হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে গত ৩ সেপ্টেম্বর শুনানী শেষে নাছিমা আক্তারের নিয়োগ ৪ সপ্তাহের মধ্যে কেন অবৈধ হবে না মর্মে রোল জারি করেছেন হাইকোর্ট বেঞ্চ।
অপরদিকে, পিটিশনকারীকে নিয়োগ দিয়ে অর্ডার নিষ্পত্তি করতে ৩০ দিনের সময় বেঁধে নির্দেশ দিয়েছেন এবং রায়কে পালন করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাশ ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। যার রিট পিটিশন নং - ৯২৯৯/২০২৪ইং।
জানাযায়, নাসিমা আক্তার তার জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে এপ্লিকেশন সাবমিট করেছিলেন। নিয়োগপত্রের ক্রমিক নং- ১৬৮ নাম্বারে উল্লেখিত নাসিমা আক্তারের স্থায়ী ঠিকানা এবং তার আবেদনের শুরুতে দাখিলকৃত জন্মনিবন্ধন ও এনআইডি কার্ডে স্থায়ী ঠিকানার সাথে গড়মিল পাওয়া যায়। যা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ০৫ নাম্বারের (ক্রমিক নং- ৯) ও ১৩ নাম্বারের শর্তাবলীর নিয়োগ বিধিমালার পরিপন্থী হয়েছে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীর সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের স্থায়ী ঠিকানার বাসিন্দা হতে হবে উল্লেখ আছে বিধায় যাচাইক্রমে আবেদন করার সময় উক্ত ওয়ার্ডে তার কোন স্থায়ী ঠিকানার দালিলিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এই কারণে তাকে ভুয়া/বহিরাগত প্রার্থী বলা যেতে পারে আবেদনে উল্লেখ করেন রিটপিশনকারী ও উক্ত ওয়ার্ডে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী সীমা রানী রায়। যার রোল নং-১৮৫০৪৪০০২৮৯।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. জসিম উদ্দিন বলেন, সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন কার্যালয়ে স্বাস্থ্য সহকারী পদে নিয়োগ নিয়ে যে উচ্চ আদালতে পিটিশন করা হয়েছিল, হাইকোর্টের পাঠানো অর্ডার আমি পেয়েছি। এটা পুলিশ ভেরিফিকেশন করার জন্য পাঠানো হয়েছে।