বালু-পাথর মহালের বর্তমান ইজারা পদ্ধতি বাতিল করে সরকারিভাবে ক্রয়কেন্দ্র চালুর দাবিতে সোমবার বিকাল ৫টায় সুনামগঞ্জ জেলা বারকি শ্রমিক সংঘের সভাপতি নাসির মিয়ার সভাপতিত্বে ও সহসাধারণ স¤পাদক জমির মিয়ার পরিচালনায় জিনারপুর বাজারে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম ছদরুল। সভায় বক্তব্য রাখেন সহসভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, তাহের মিয়া, আবুল বাশার, আব্দুল ওদুদ, ধোপাজান নদী শাখার আহ্বায়ক আবুল কাশেম প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, হাওরাঞ্চলে বছরে সাত-আট মাস জলমগ্ন থাকায় যুগ যুগ ধরে হাওরাঞ্চলের দরিদ্র শ্রমজীবী বারকি শ্রমিক হাতের সাহায্যে বালতি ও বেলচা দিয়ে সনাতন পদ্ধতিতে পাথর-বালু উত্তোলন করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল। এ সময় বারকি শ্রমিকরা যে পরিমাণ পাথর- বালি আহরণ করতো প্রতি বছর বর্ষায় উজান থেকে নেমে আসা বালি পাথর সেই ক্ষয় পূরণ হয়ে যেত। এলাকার পরিবেশ প্রতিবেশের উপর কোনপ্রকার প্রভাব ছিলনা। তহশিলদারের পরিবর্তে ইজারাদার নিয়োগ দেয়ায় ইজারাদার ১০০ টাকা ইজারা মূল্যের বিপরীতে লক্ষ টাকা মুনাফা লাভের লোভে পাথর বালু মহালে পরিবেশ বিধ্বংসী ড্রেজার-বোমাসহ বিভিন্ন নামের খনন যন্ত্র দিয়ে বালি-পাথর উত্তোলন ও পাড়কাটাসহ হেন অপকর্ম নেই যা করেনি। কিন্তু পরিতাপের বিষয় লুটপাটকারীদের কোনপ্রকার শাস্তির আওতায় অদ্যাবধি আনা হয়নি।
সভায় বক্তারা আরও বলেন, লুটপাটের শাস্তি ভোগ করছে এলাকার দরিদ্র বারকি শ্রমিক। লুটপাটের কারণে ধোপাজান বালিমিশ্রিত পাথর মহাল আজ বন্ধ। দরিদ্র বারকি শ্রমিকদের ঘরে দুর্ভিক্ষ। অর্ধাহারে অনাহারে বারকি শ্রমিকরা দিনাতিপাত করছে। বক্তারা সরকারের ইজারা চুক্তিকে লুটপাটের লাইসেন্স উল্লেখ করে বর্তমান ইজারা পদ্ধতি বাতিল করে সরকারিভাবে বালু-পাথর ক্রয়কেন্দ্র চালুর জোর দাবি জানান। - সংবাদ বিজ্ঞপ্তি