স্টাফ রিপোর্টার ::
নবগঠিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সুনামগঞ্জ জেলা কমিটি বাতিলের দাবিতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে শহরের ট্রাফিক পয়েন্টে ‘সর্বস্তরের সাধারণ শিক্ষার্থী, সুনামগঞ্জ জেলা’-এর ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হয়। এসময় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ- ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ বলে স্লোগান দেন।
সমন্বয়ক সোমেল আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সমন্বয়ক মু ইয়াকুব হোসেন, মু শরীফ আহমদ, রাজন আহমদ, তৌহিদুল ইসলাম, সাব্বির রহমান, সজিব আহমেদ নাহিদ প্রমুখ।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, সংগ্রামী উপস্থিতি আপনারা জানেন- এই সুনামগঞ্জের রাজপথে কারা অধিকারের জন্য আন্দোলন করেছে, এই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন করতে গিয়ে কোন শিক্ষার্থীরা জেল খেটেছে। এই সমন্বয়ক কমিটির মধ্যে তারা থাকতে চায় না। কিন্তু তারা চায় যারা এই সুনামগঞ্জের মাটিকে কলঙ্কমুক্ত করার চেষ্টা করেছে, সুনামগঞ্জের সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের জন্য যারা কাজ করেছে, তাদের সম্মান। তাদের প্রাপ্য তারা ফিরে পেতে চায়। যারা আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন তাদেরকে সঠিক মূল্যায়ন করতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, আমরা যারা আন্দোলন করেছি, তাদের কি কোনো মতামতের স্বাধীনতা নেই। আমাদের মতামত ছাড়া কিভাবে কমিটি গঠন করা হয়? কারা দিয়েছে এই কমিটি? তারা কমিটি দিয়েছে, নাকি বিক্রি করেছে? প্রত্যেকটা কমিটির মধ্যে সাধারণ শিক্ষার্থীর মতামত থাকতে হবে।
বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগের দোসরদের দিয়ে যে কমিটি দেয়া হয়, সে কমিটি আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা চাই না। কমিটিতে কে থাকবে কে থাকবে না সেটা বিষয় না। তবে কথা একটাই কমিটিতে আওয়ামী লীগের কোনো দোসর থাকতে পারবে না।
বক্তারা আরও বলেন, যারা সব সময় আন্দোলন করেছে, তাদের একটা নামও যদি থাকতো, মনটা ভরে যেত। নাসিম ভাই এবং গালিব ভাই যে কাজটা করেছে এই সুনামগঞ্জ জেলাকে নিয়ে..., আমরা বলে দিতে চাই, তারা শুক্রবারের মধ্যে এই কমিটি বিলুপ্ত করে আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীর মাধ্যমে কমিটি গঠন না করে, তবে তারা সুনামগঞ্জে ঢুকতে পারবে না।
বক্তারা বলেন, তোমাদের শরীরে ধোপাজানের পানি পড়ছে। ছাত্র-জনতা কিন্তু ধোপাজানের পানি শুকাইতে জানে। ধোপাজানের পানি ছাত্র-জনতা শুকায়ে দিবে কইয়ে দিলাম। সুমেল ভাই গ্রেফতার হইছেন, তার নাম কমিটিতে নাই। আওয়ামী দোসরদের হাতে দায়িত্ব দিবেন না।
বক্তারা আরো বলেন, আন্দোলনের সময় আমরা দেখি নাই কে কোথা থেকে এসেছে, কে বিএনপি, কে জামায়াত, কে ছাত্র। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করেছি। এখন সবশেষে দেখা যাচ্ছে যে, আমাদেরকে ভাড়াটিয়া বলে ট্যাগ লাগিয়ে আমাদেরকে কমিটি থেকে বাদ দেয়ার চেষ্টা করছে।
বক্তারা বলেন, প্রত্যেকটা পুলিশ জানে, প্রত্যেকটা মানুষ জানে, প্রত্যেকটা লোক জানে- এই শহরে কে আন্দোলন করেছে, কে রক্ত ঝরিয়েছে। এখানে আমাদের কারাবরণকারী দু’জন স্টুডেন্ট রয়েছে। তাদেরকেও কমিটিতে রাখা হয় নাই। এমন বৈষম্য তো আমরা চাই নাই।