সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুর রিমান্ড শুনানিতে মারধর করে তার আইনজীবী স্বপন রায় চৌধুরীকে বের করে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরদিন শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী দাবি করেছেন, আইনজীবীকে মেরে বের করে দেওয়ার ঘটনা সাজানো।
পাবলিক প্রসিকিউটর বলেন, আমির হোসেন আমুর আইনজীবী দাবি করা আইনজীবীকে রাষ্ট্রপক্ষের কোনো আইনজীবী মারধর করেনি। প্রকৃতপক্ষে গতকাল আমির হোসেন আমুর পক্ষে আদালতে একাধিক ওকালতনামা জমা দেওয়া নিয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে আদালতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
ওমর ফারুক বলেন, আইনজীবী দাবি করে কথিত ওই আইনজীবী যে বক্তব্য দিয়েছেন প্রকৃতপক্ষে সে আমুর আইনজীবী নয় বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা। দেশবাসীকে ভুল বুঝাতে পরিকল্পিতভাবে এমন ঘটনার সৃষ্টি করা হয়েছে।
এর আগে গত বৃহ¯পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিন রেজার আদালতে আমির হোসেন আমুর রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন।
এরপর আসামিপক্ষ শুনানি শুরু করলে পাবলিক প্রসিকিউটরের বক্তব্যটি রাজনৈতিক বলে মন্তব্য করেন আমুর পক্ষের আইনজীবী স্বপন রায় চৌধুরী। তখন উত্তেজিত হয়ে আদালতে উপস্থিত একদল আইনজীবী তাকে মারধর শুরু করেন। মারধরের ঘটনায় তিনি আদালতের দরজার সামনে পড়ে যান। একপর্যায়ে তাকে লাথি মারা হয়।
এরপর কয়েকজন আইনজীবী তাকে তুলে আদালত থেকে নিরাপদে বের করে দেন। পরে সাংবাদিকদের সামনে এ ঘটনার বিচার দাবি করেন তিনি।
ভুক্তভোগী আইনজীবী স্বপন রায় চৌধুরী বলেন, আদালতের মধ্যে আমার ওপর ১০-২০ জন আইনজীবী হামলা করেছে। আদালতে পিপি সাহেব রাজনৈতিক কথা বলেছেন। সে জন্য আমি বলেছি, আপনি রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছেন। এরপর সরকারপক্ষের আইনজীবীরা আমার ওপর হামলা চালায়। আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়, লাথি মারে। আমাকে পিটাইতে পিটাইতে নিচে ফেলে দেয়। আমি কোনো নিরাপত্তা পাইনি। আদালত নীরব ছিল। বাংলাদেশ একটা নিরাপত্তাহীন অবস্থায় আছে।