সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি আবার বেড়েছে। অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। এদিকে শহরের চেয়ে গ্রামে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে বেশি। গ্রামীণ এলাকাগুলোতে মূল্যস্ফীতি ১১ দশমিক ২৬ শতাংশ হয়েছে, যা সেপ্টেম্বরে ছিল ১০ দশমিক ১৫ শতাংশ। আর শহুরে এলাকায় মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ৪৪ শতাংশ হয়েছে, যা সেপ্টেম্বরে ছিল ১০ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এটি অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ গ্রহণের পর মূল্যস্ফীতির প্রথম বৃদ্ধি।
আগস্টে খাদ্যদ্রব্যের দাম কমে মূল্যস্ফীতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও এখন আবার দাম বাড়ছে। ফলে অক্টোবরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে। খাদ্যদ্রব্যের দাম বেড়ে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ হয়ে গেছে, যা সেপ্টেম্বরে ছিল ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত দ্রব্যের মূল্যস্ফীতি সামান্য কমে ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশে নেমেছে, যা সেপ্টেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞরা সরকারের প্রতি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা খাদ্যদ্রব্যের মজুদ বাড়ানো, বাজার ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করা ও মূল্য মনিটরিংয়ে তৎপরতা বৃদ্ধির পরামর্শ দেন। তারা বলছেন, বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম কমলেও বাংলাদেশের স্থানীয় বাজারে তা প্রতিফলিত হয়নি। কারণ, দেশের বাজার ব্যবস্থাপনা দুর্বল এবং ডলারের দাম বাড়ায় ডলার সরবরাহ কমে যাওয়ায় মূল্যস্ফীতি আরও বেড়েছে।
এ বছর গড় মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ১৬ শতাংশ, যা গত বছরের ৯ দশমিক ৫৫ শতাংশের চেয়ে বেশি। স্থির আয়ের মানুষ, বিশেষ করে অদক্ষ শ্রমিকরা ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির কারণে বেশি সমস্যায় পড়ছেন। যদিও তাদের মজুরি সামান্য বেড়েছে, তবুও তারা জীবনযাত্রার উচ্চমূল্য সহ্য করতে পারছেন না।