সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
জনগণের ভোট নিশ্চিত করাই বিএনপির লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে রাজধানীতে বিএনপি আয়োজিত র্যালির উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, আজকের মিছিল সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র এবং দেশ গড়ার মিছিল। বিএনপির লক্ষ্য জনগণের ভোট নিশ্চিত করা। গণতন্ত্রবিরোধী ষড়যন্ত্র এখনো থেমে নেই।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে সহায়তার মাধ্যমে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী অপশক্তি জেনে রাখুক, রাজধানীর রাজপথে আজ কারো বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় তোলার মিছিল নয় বরং বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষার মিছিল। নিজের ভোট প্রয়োগের অধিকার আদায়ের মিছিল।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে আর কখনো যেন ফ্যাসিবাদ স্বৈরাচার ফিরে আসতে না পারে, সেজন্য প্রতিটি নাগরিক সরাসরি ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের সক্ষমতা অর্জন জরুরি।
তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত নির্বাচিত হতে ইচ্ছুক জনপ্রতিনিধিদের জনগণের ভোটের প্রতি মুখাপেক্ষী না করা পর্যন্ত জনগণ গণতন্ত্রের সুফল পাবে না। গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্র এখনো থেমে নেই। দেশে-বিদেশে প্রশাসনে চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ছিল বাংলাদেশের শত্রু-মিত্র চেনার দিন উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আজ শত্রু চিহ্নিত করার দিন। অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকলে আর কেউ দেশের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করতে পারবে না।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ঢাকার রাজপথে আজ লাখো জনতার মিছিল, দেশের পক্ষের শক্তিকে ৭ নভেম্বরের অন্তর্নিহিত শিক্ষায় দীক্ষিত করার মিছিল এটি। লাখো জনতার আজকের এই মিছিল ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে আহত এবং অসংখ্য ছাত্র-জনতা ও হাজারো শহীদের স্বপ্নে একটি বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক মানবিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ী মিছিল। এটি রাজধানীর রাজপথে কারোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় তোলার মিছিল নয় বরং বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষার মিছিল।
তারেক রহমানের বক্তব্যের পর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে র্যালিটি শুরু হয়। র্যালিটি বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে কাকরাইল, মৎস্য ভবন, ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট, শাহবাগ, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার ও ফার্মগেট হয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে গিয়ে শেষ হয়।
এর আগে র্যালিতে যোগ দিকে এদিন দুপুর ১২টা থেকে নয়া পল্টনে দলটির নেতাকর্মীরা জড়ো হন। এরপর বিকেল ৩টায় কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শোভাযাত্রার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়।