সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দ্বিতীয় স্বাধীনতার প্রথম শহীদ হচ্ছেন বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার। আবরার আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে, আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ফ্যাসবুকে পোস্ট দিয়ে যে প্রতিবাদ করেছিল তাকে নির্মম নির্যাতন করে দোতলা থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করা হলো। তার মতো দেশপ্রেমিককে আমরা দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ বলতেই পারি।
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বৃহ¯পতিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাসাস আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে আবরার, মুগ্ধ, আবু সাঈদদের জন্ম হয়েছে। যে দেশের ৩০ লক্ষ মানুষ তাদের জীবন উৎসর্গ করতে পারে, মা-বোনেরা বিলিয়ে দিতে পারে তাদের সর্বোচ্চ ইজ্জত।
তিনি বলেন, ৫২, ৬৯, ৭১, ৯০ ও ২০২৪ কী অভূতপূর্ব মিল। ২০২৪ সালে প্রাইমারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কিভাবে জাগরিত হয়েছিল। এমন জাতিকে, এমন দেশকে কোনও আধিপত্যবাদী শক্তি দাবিয়ে রাখতে পারবে না।
বিএনপির মুখপাত্র বলেন, আজকে যেমন ৫ আগস্টকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলছি, তেমনি ৭ নভেম্বরকে আমরা বলতাম প্রকৃত স্বাধীনতা। ৭ নভেম্বর হচ্ছে স্বাধীনতার পূর্ণাঙ্গ রূপ। সেদিন এদেশের মানুষ পূর্ণ মুক্তি লাভ করেছিল। এই দেশ যে আমাদের দেশের মানুষ, যারা দেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন, দেশের জন্য আত্মাহুতি দিয়েছিলেন ১৯৭৫ সালে বাকশাল গঠন করে, মানুষের বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছিলেন। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে বিকিয়ে দিয়েছিল। বাংলাদেশকে তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতা মিলে জিয়াউর রহমানকে ক্ষমতায় বসিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় বসে মানুষের বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন, ফিরিয়ে দিয়েছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্র। দেশকে করে ছিলেন খাদ্যে স্বয়ং স¤পূর্ণ। সে সময় আওয়ামী লীগের গলায় ফাঁস দিয়ে বাকশাল গঠন করা হয়েছিল সে আওয়ামী লীগ জিয়াউর রহমানের কাছে আবেদন করে রাজনীতিতে ফিরে এসেছিল। আর সে কারণে জিয়াউর রহমানকে ৭ নভেম্বর থেকে হত্যার টার্গেট করা হয়েছিল।
জাসাসের সভাপতি হেলাল খান, জাসাস নেতা ইথুন বাবু, জাকির হোসেন রোকনসহ নেতাকর্মীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।