স্টাফ রিপোর্টার ::
জেলা শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে ৫ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ বিভাগের প্রশিক্ষণার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া। উদ্বোধনী ফলকে স্বাক্ষর করে তিনি এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন শেষে ২৬ জন প্রয়াত গুণির প্রতিকৃতি প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সমর কুমার পাল, লেখক ও কবি সুখেন্দু সেন, কবি ও লেখক কুমার সৌরভ, দৈনিক সুনামকণ্ঠ স¤পাদক বিজন সেন রায়, সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক জাকির হোসেন, গবেষক সুবাস উদ্দিন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার আহমেদ মঞ্জুরুল হক পাভেল প্রমুখ।
পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বে উচ্চাঙ্গ সংগীত পরিচালনা করেন প্রশিক্ষক প্রদীপ কুমার চন্দ। নৃত্য পরিচালনা করেন শ্রাবন্তী পুরকায়স্থ। কবিতা আবৃত্তি পরিচালনা করেন শিশু বিভাগের প্রশিক্ষক সুমনা তালুকদার রিম্পি। সংগীত পরিবেশনা, দলীয় সংগীত পরিচালনা করেন সোহেল রানা। ছড়াগান পরিবেশনা করেন সংগীত প্রশিক্ষক সন্তোষ কুমার চন্দ। এছাড়া অনুষ্ঠানে ধামাইল গান, লোকসংগীত, ছড়াগান পরিবেশন করা হয়।
গুণীজনদের প্রতিকৃতি প্রদর্শনীতে ২৬ জন প্রয়াত গুণীর আলোকচিত্র প্রদর্শিত হয়। তাঁরা হলেন- লোক সাধক, কবি ও শিল্পী কামালপাশা, লোকসাধক, কবি ও শিল্পী মকরম আলী, নাট্যাভিনেতা, নির্দেশক ও সংগঠক ডা. তরণী কান্ত দে, শিল্পী, সংগঠক ও অধ্যাপক নির্মলেন্দু চৌধুরী, গীতিকার, সুরকার, শিল্পী ও সংগঠক দুর্ব্বিন শাহ, লোকগানের শিল্পী, সংঙ্গীত প্রশিক্ষক ও সংগঠক উজির মিয়া, ভাষা সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, লেখক ও গবেষক মুহাম্মদ আব্দুল হাই, গীতিকার ও শিল্পী কফিল উদ্দিন সরকার, লোক সংঙ্গীত শিল্পী, সংগঠক ও সংগীত প্রশিক্ষক এমরান আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিল্পী, গীতিকার, নাট্যকার, নাট্যাভিনেতা ও নির্দেশক দেওয়ান মহসিন রাজা চৌধুরী, নাট্যাভিনেতা, নির্দেশক ও সংগঠক অমিয়েশ চক্রবর্তী, লোকসাধক, কবি ও শিল্পী মকদ্দস আলম উদাসী, যাত্রাভিনেতা, নির্দেশক ও সংগঠক ইউসুফ আল আজাদ, নাট্যাভিনেতা শ্যামল চক্রবর্তী, নাট্যাভিনেতা, নির্দেশক ও সংগঠক আ ত ম সালেহ, মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি ও সাংস্কৃতিক পৃষ্ঠপোষক মনোয়ার বখত নেক, শিক্ষক ও নাট্যাভিনেতা সত্যরঞ্জন তালুকদার, নৃত্যশিল্পী বেলা চক্রবর্তী, সংগীত শিল্পী, গবেষক ও শিক্ষাবিদ ড. মৃদুল কান্তি চক্রবর্তী, কবি, সাংস্কৃতিক সংগঠক ও জনপ্রতিনিধি দেওয়ান মমিনুল মউজদীন, নাট্যাভিনেতা, নির্দেশক, কণ্ঠসৈনিক ও সংগঠক শাহ আবু তাহের, শিল্পী, সাংস্কৃতিক সংগঠক ও আইনজীবী দিগি¦জয় শর্মা চৌধুরী, গীতিকার, সুরকার, শিল্পী, সঙ্গীত প্রশিক্ষক ও জনপ্রতিনিধি সাব্বির আহমদ সোহেল, সাংস্কৃতিক সংগঠক, কবি, নাট্যকার, নাট্যাভিনেতা ও ফুটবলার গোলাম রাব্বী, শিল্পী, সুরকার, সংগীত প্রশিক্ষক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক হিতাংশু তালুকদার অপু, গীতিকার, সুর ও শিল্পী পাগল হাসান।
ওইদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু হওয়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলে রাত ৯টা পর্যন্ত। অনুষ্ঠানে নানা শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।