স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের বাচ্চুনগর পিকনিক স্পট দর্শনার্থীদের আগমন বেড়েছে। এই পিকনিক স্পটে আগত দর্শনার্থীদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পিকনিক স্পটে টিলার উপর রয়েছে চমৎকার বসার স্থান। পুকুরপাড়েও একাধিক বসার স্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া সভা, সেমিনার, আনন্দ বিনোদনের উপযোগী স্থান হিসাবে গড়ে তোলা হয়েছে এই বাচ্চুনগর পিকনিক স্পট।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত এই বাচ্চুনগর পিকনিক স্পট সবুজে ঘেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ ও মনোরম পরিবেশে এবং নীরব-নিস্তব্ধ সময় কাটানোর এক অপূর্ব স্থান। এই পিকনিক স্পটের টিলায় উঠে দুই দেশের সীমান্তে অবস্থিত ছোট-বড় পাহাড়-টিলা দেখে চোখ জুড়ানো সময় কাটানো যায়।
বাচ্চুনগর পিকনিক স্পটের নিয়মাবলীতে উল্লেখ করা হয়েছে, সীমান্তের নো-মেনস ল্যান্ডে যাওয়া যাবে না, কোনো নেশাগ্রস্ত ব্যক্তি প্রবেশ করা যাবে না, ইভটিজিং বা অশ্লীল আচরণ করা যাবে না। পিকনিক স্পটের ক্ষতি হয় এমন কাজ করা যাবে না, চলাফেরা বা কথা বলায় বন্ধুসুলভ আচরণ করা উচিত। এসব নির্দেশনা সম্বলিত সাইনবোর্ড সাঁটানো থাকায় সবাই সচেতন থাকেন বলে পিকনিক স্পটের দায়িত্বে থাকা লোকজন জানান।
সম্প্রতি বাচ্চুনগর পিকনিক স্পটে সপরিবারে আগত ইংল্যান্ড প্রবাসী ও সংস্কৃতিকর্মী মুজিবুর রহমান বলেন, আমি বাচ্চুনগর পিকনিক স্পটে বেড়াতে এসেছি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে। সীমান্তে ও সীমান্তের অপারের ছোট-বড় পাহাড়-টিলা দেখে পরিবারের লোকজন দারুণ খুশি হয়েছে। পরিবেশও খুব ভাল। সকাল থেকে দুপুর হয়েছে, এখনও আছি ভাল লাগছে।
দর্শনার্থী সাহেরা খাতুন জানালেন, আমি দুই মেয়েকে নিয়ে গোবিন্দগঞ্জ থেকে এসেছি। প্রথমে এসেছি সুনামগঞ্জ শহরতলির সুরমা ভ্যালি ডিসি পার্কে। একজন বললেন, হালুয়ারঘাট থেকে সোজা বাচ্চুনগর পিকনিক স্পটে যাওয়া খুবই সহজ। তাই চলে এসেছি। বাচ্চুনগর না আসলে আমাদের ভ্রমণ বৃথা যেতো। এখন আমরা সফল। একেবারে সীমান্তের কাছে এসে অনেক ছবি তোলেছি। দারুণ আনন্দিত আমরা।
শহরের বাসিন্দা সাজিদুর রহমান বলেন, পরিবার নিয়ে যেতে ছিলাম হাসাউড়া কিন্তু হালুয়ারঘাট এসে গাড়ি চালক বলল, বেড়াতে হলে বাচ্চুনগর যান। সে আমাকে নিয়ে বাচ্চুনগর আসলো। এখন দেখি ভালোই লাগছে। এখানে এসে দিনের বেশিরভাগ সময় ভালই কেটেছে।
এ ব্যাপারে বাচ্চুনগর পিকনিক স্পটের পরিচালক বাচ্চু মিয়া বলেন, আমার পরিকল্পনায় আছে পার্ক টিলার উপর অংশে এবং আশপাশে আরও দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তোলা। প্রাকৃতিক ফুলে-ফলে ও গাছ-গাছালি দিয়ে সাজিয়ে তোলা। একই সাথে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা। তিনি বলেন, আমার পিকনিক স্পটে কোনো অপরাধমূলক কাজ করার সুযোগ নেই। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে আমার লোকজন দায়িত্ব পালন করছেন।