স্টাফ রিপোর্টার ::
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজে অনার্স-মাস্টার্স কোর্সে বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত সাড়ে তিন হাজার অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকের এমপিওভুক্তির দাবি ও গত ১৭ অক্টোবর শিক্ষা ভবনের সামনে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে শিক্ষকদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশন সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির উদ্যোগে রবিবার বিকেল ৩টায় সুনামগঞ্জ শহরের আলফাত স্কয়ার (ট্রাফিক পয়েন্টে) মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি প্রভাষক মো. আব্দুল ওয়াহিদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক আরিফুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে রাখেন বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (বাকবিশিস) সুনামগঞ্জ জেলার সাংগঠনিক স¤পাদক প্রভাষক দুলাল মিয়া, জ্যেষ্ঠ প্রভাষক মো. নাজিম উদ্দিন, প্রভাষক হরিভক্ত গোপ, প্রভাষক মো. ইকবাল হোসেন, প্রভাষক হীরা আল মামুন, প্রভাষক রাজু দাশ ও মো. লুৎফর রহমান।
বক্তারা বলেন, সারাদেশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত এমপিওভুক্ত কলেজে বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত সাড়ে তিন হাজার অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষককে ৩২ বছর ধরে বেতন- ভাতা না দিয়ে এমপিওবিহীন রেখে চরম বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে। বর্তমানে উচ্চ দ্রব্যমূল্যের বাজারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন শিক্ষকরা। সারাদেশের বেসরকারি কলেজগুলোতে লাখ লাখ শিক্ষার্থী কৃতিত্বের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে অনার্স-মাস্টার্স পাস করেছেন। যেখানে শিক্ষকদের অনেক অবদান রয়েছে। গত সরকারগুলো অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের জনবল কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত না করায় প্যাটার্নবহির্ভূত শিক্ষক হিসেবে তাঁরা কাজ করছেন। এটা অত্যন্ত অসম্মান ও লজ্জারজনক। কলেজ থেকে পূর্ণ স্কেলে বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও কলেজ ভেদে ২ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকার বেশি কখনোই দেওয়া হয় না। ওই সমান্য টাকা দিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে চলা খুবই কষ্টকর। এই দুঃখ ও কষ্টের কথা কাউকে বুঝে না। পরিবার-পরিজনের কথা চিন্তা করে মানবিক বিবেচনায় শিগগির আমাদের এমপিওভুক্ত করা হোক।
তারা আরও বলেন, গত ১৭ অক্টোবর ঢাকায় তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ অতর্কিতে হামলা চালিয়েছে। এতে তাঁদের অনেক শিক্ষক আহত হয়েছেন। কর্মসূচির মাধ্যমে এর তীব্র নিন্দা জানানো হয়। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেন শিক্ষক নেতৃবৃন্দ।