সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘বিপ্লবী সরকার’ হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশের জন্য সরকারের প্রতি নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করা হয়েছে। গেজেট প্রকাশ না করার জন্য সরকারের নিষ্ক্রিয়তাকে বেআইনি ঘোষণা করে আদেশও চাওয়া হয়েছে রিট আবেদনে। একইসঙ্গে জুলাই বিপ্লবে জীবন উৎসর্গকারী ও আহতদের ‘মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে সম্মানিত করার ঘোষণা দিয়ে গেজেট প্রকাশের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেনের পক্ষে বুধবার (২৩ অক্টোবর) রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এএসএম শাহরিয়ার কবির। রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং আইন উপদেষ্টার ব্যক্তিগত সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
ব্যারিস্টার শাহরিয়ার কবির বলেন, গত ৫ আগস্ট বিপ্লবের পর বর্তমান সরকার শুধু সংবিধানের বাইরে নয়, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের বাইরেও গঠিত। যদি এমন কোনো ঘোষণা না থাকে, তাহলে আদালত বর্তমান সরকারকে ‘অসাংবিধানিক’ ঘোষণা করতে পারে এবং সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তার বিকল্প ঘোষণা করতে পারে।
তিনি বলেন, একটি বিপ্লবী সরকারকে সামরিক অভ্যুত্থান বা আদালতের রায় দিয়ে উৎখাত করা যায় না। সংবিধানের জরুরি বিধানের অধীনে একটি বিপ্লবী সরকার গঠন করা যেতে পারে।
রিট আবেদনে বলা হয়, বিপ্লবের তরঙ্গ বিচার বিভাগ, প্রেস, প্রশাসন এবং একটি ঐক্যমতে গঠিত সরকারসহ জীবনের সব স্তরকে প্রভাবিত করেছে, যা একটি বিপ্লবী সরকার হিসেবে সংবিধানের আওতার বাইরে। কিন্তু আজ পর্যন্ত সরকার আন্দোলনের আকাক্সক্ষা বাস্তবায়নে কোনো ঘোষণা প্রকাশ করেনি। মাটির সন্তানকে ২০২৪ সালের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতিও দেয়নি।
রিটকারী আইনজীবী বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা-সজীব ওয়াজেদ জয় ম্যাকিয়াভেলি তত্ত্বের অধীনে বিপ্লবী সরকারকে উৎখাত করার চেষ্টা করছেন। সংবাদপত্র থেকে এটি জাতির নজরে এসেছে, তিনি (শেখ হাসিনা) নির্বাসনে সরকার গঠন করতে যাচ্ছেন।
আজ রোববার (২৪ অক্টোবর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিটের শুনানি হতে পারে।