স্টাফ রিপোর্টার ::
শাল্লায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালামের ডাকে মানববন্ধনে আসেননি কেউ। ফলে অনুষ্ঠিত হয়নি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও হেয় প্রতিপন্ন করার অপকৌশলটি। তার নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে একের পর এক সংবাদ প্রকাশ করে আসছিলেন সাংবাদিকরা। এতে নিজের দুর্নীতি আড়াল করতে মরিয়া হয়ে উঠেন আব্দুস সালাম। সাংবাদিকদের কোনোমতেই নিজের কব্জায় আনতে না পেরে প্রথমে প্রাণনাশের হুমকি দেন। তাতেও সাংবাদিকরা ভয় না পাওয়ায় গত ২৩ অক্টোবর (বুধবার) রাতে “উপজেলা এডুকেশন অফিসার্স গ্রুপ” নামক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে তিনি সবাইকে মানবন্ধনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। তিনি গ্রুপে লিখেন “প্রিয় শাল্লাবাসী, আমার সালাম ও শুভেচ্ছা নিবেন। আগামীকাল রোজ বৃহ¯পতিবার সময় ১১ ঘটিকায় (২৪ অক্টোবর) হলুদ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এবং তাদের কর্তৃক হয়রানি ও মানহানিকর আচরণের প্রেক্ষিতে সকল ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে শিক্ষক সমাজ, সাংবাদিক এবং সাধারণ মানুষসহ সবাইকে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে অংশগ্রহণ করার জন্য বিনীত অনুরোধ করা হল। অনুরোধক্রমে প্রধান সমন্বয়ক উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাল্লা, সুনামগঞ্জ।”
তার এই গ্রুপ ম্যাসেজ পেয়েও কোন শিক্ষক সাড়া দেননি। সাড়ে দেননি উপজেলার সাধারণ মানুষসহ সাংবাদিকরাও। কেউ আসেননি মানববন্ধন কর্মসূচিতেও।
নাম প্রকাশে একজন শিক্ষক বলেন, চোরের ডাকে ক্লাস ফেলে মানববন্ধনে কেন আসব? আরেকজন শিক্ষক বলেন, শুনেছি মাথাপিছু এক হাজার দিয়ে সাধারণ মানুষকে ভাড়া কইরা আনতাছে। উপজেলার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে তার এই বেআইনি সমাবেশে আমরা যাব কেন?
এ বিষয়ে শাল্লা উপজেলা উদীচী’র উপদেষ্টা আজমান গনি তালুকদার বলেন, তার নানা ধরনের দুর্নীতির সংবাদ আমরা পাচ্ছি। তিনি তার অপকর্ম লুকিয়ে রাখতে মানববন্ধন করে কিছুটা ইমেজ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা করছে। তার এই ঘৃণ্য কর্মকা-ের নিন্দা জানাই। পাশাপাশি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাই।