স্টাফ রিপোর্টার ::
চাঁদাবাজি, তদবির বাণিজ্য ও বেআইনি কর্মকান্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগ এনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা ইমন দ্দোজাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।
নদীতে অবৈধ বালুবোঝাই নৌযানে চাঁদাবাজি, সরকারি বিভিন্ন দফতরে প্রভাব বিস্তার ও ছাত্রজনতার উপর হামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করতে তদবিরসহ নানা অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
বৃহ¯পতিবার বেলা ২ টায় শহরের পুলিশ ক্যাফেতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশের নেতারা।
এদিকে, সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনও কমিটি না থাকায় তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার এখতিয়ার তাদের নেই বলে জানিয়েছেন ইমন দ্দোজা।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে ইমন দ্দোজা নামের একজন শিক্ষার্থী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন সরকারি দফতরে একের পর এক অন্যায় ও অন্যায্য তদবির করে যাচ্ছেন। কোথাও কাজ আদায় করতে কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ হুমকি ধমকি দিচ্ছেন। সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে চাঁদা তোলার পাশাপাশি ইজারাবিহীন ধোপাজান নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করার অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। তাদের অভিযোগ, আওয়ামী স্বৈরাচার সরকারের দোসর যুবলীগের শাহ রুবেল ও বালু মহালের ইজারাদার আওয়ামী লীগ নেতা রতন মিয়াকে গ্রেফতার না করতে পুলিশ প্রশাসনকে চাপ দিচ্ছেন ইমন।
তারা বলেন, ইমন দ্দোজার এইসব অন্যায় ও বেআইনি কর্মকান্ডের সাথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সুনামগঞ্জ জেলা শাখার ন্যূনতম সম্পর্ক নাই। এটি তিনি ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের জন্য করে বেড়াচ্ছেন। এ জন্য তাকে আন্দোলন থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী এনডি উসমান গণী, ইয়াকুব আলী, সাইমন মিয়া, নাইম আহমদ অন্তর, শরিফ আহমদ, আরাফত পীর, মিজান আহমদ, সুজন রাজ, রাসেল আহমদ, তারেক আহমদ প্রমুখ।
অভিযোগের ব্যাপারে ইমন দ্দোজা বলেন, সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনও কমিটি নাই। তারা কে আমাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন বলে জানান ইমন।