হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তর-এর কাজ শুরু করা হোক
শিরোনামটি ‘কার্যালয়ে নেই কার্যক্রম!’। সংবাদপ্রতিেিবদনটি করা হয়েছে সুনামগঞ্জে অবস্থিত ‘হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তর’-এর আঞ্চলিক কার্যালয় নিয়ে। বলা হয়েছে, “সুনামগঞ্জবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জেলায় এই প্রতিষ্ঠানের আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু শুরু থেকেই এটি নিয়ে এক ধরণের অবহেলা রয়েছে বলে মনে করেন হাওরবাসীর বিভিন্ন দাবি নিয়ে সোচ্চার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা। তাঁরা বলছেন, ভবন নির্মাণের পর এটি পড়ে ছিল চার বছর। এরপর উদ্বোধন হলেও এখন আট বছর চলে গেছে। কিন্তু কোনো কার্যক্রম নেই। এ কারণে এই প্রতিষ্ঠান নিয়ে হাওরবাসীর যে প্রত্যাশা ছিল সেটি পূরণ হচ্ছে না।”
আমাদের সমাজে দুর্মুখ অনেকেই আছেন। তাঁদের কেউ কেউ মনে করেন যে, যে-দেশে ‘পাউবো’ (পানি উন্নয়ন বোর্ড)-এর মতো কাঠামোগত সহিংসতা বিস্তারে সক্রিয় প্রতিষ্ঠান সরকারি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়, সে-দেশে ‘হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তর’ চালু হওয়াটা এতো সহজ কাজ নয়। এর কারণ হিসেব তাঁরা এই যুক্তি প্রতিস্থাপন করেন যে, সরকার মনে করছে অধিদপ্তরটি পাউবো’র মতো দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে উঠার সম্ভাবনা নেই, তাই এটির কার্যক্রম শুরু করতে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। এমন কথায় আমাদের সমর্থন নেই। আমরা মনে করি আমাদের দেশের যে-কোনও উন্নয়নকর্মের সঙ্গে সমাজের অধিপতি শ্রেণির অর্থপ্রাপ্তির স্বার্থসংশ্লিষ্টতা বিদ্যমান, সেটা নিশ্চিত ও নিষ্কণ্টক না হলে যে-কোনও কাজের বাস্তবায়নকে দীর্ঘসূত্রিতার ফাঁদে ফেলে রাখা হয়। এ বিষয়ে আপাতত বক্তব্যের বহর না বাড়িয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে একটি প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।
প্রত্যাশাটি হলো, ‘হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তর’-এর কার্যক্রমকে দীর্ঘসূত্রিতার ফাঁদ থেকে অচিরেই মুক্ত করে জনবল নিয়োগ দিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে সক্রিয় করা হোক এবং এই অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সুনামগঞ্জে প্রতিষ্ঠা করে প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠান বিকেন্দ্রীকরণের সূচনা করা হোক সুনামগঞ্জ থেকে।