সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে প্রাণঘাতী ও বিধ্বংসী সামরিক অভিযান চলছে গাজায়। এতে পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে ফিলিস্তিনের এই উপত্যকাটি। এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি হামলায় ভেঙে পড়েছে গাজার অর্থনীতিও। আর এই অর্থনীতি যুদ্ধের আগের অবস্থায় ফিরতে ৩৫০ বছর সময় লাগবে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। সোমবার (২১ অক্টোবর) প্রকাশিত জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সম্মেলনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি আগামীকাল যুদ্ধ শেষ হয় এবং ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি হামলার আগের অবস্থায় ফিরে যায়, তবু গাজার বিধ্বস্ত অর্থনীতিকে আগের দুর্বল অবস্থায় ফেরাতে ৩৫০ বছর লাগতে পারে। কারণ হিসেবে তারা বলেছে, যুদ্ধ শুরুর আগে থেকেই গাজার অর্থনৈতিক কর্মকা- ছিল দুর্বল। সেখানে জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও পানির তীব্র ঘাটতি ছিল।
২০০৭ সালে গাজার ক্ষমতা দখল করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপর থেকেই ইসরায়েল ও মিসরের আরোপিত অবরোধের অধীনে ছিল গাজা। পূর্ববর্তী চারটি যুদ্ধ এবং হামাস ও পশ্চিম তীরে পশ্চিমা সমর্থিত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মধ্যে বিভেদও গাজার অর্থনীতিতে বড় প্রভাব ফেলেছিল।
বর্তমান যুদ্ধে ইসরায়েলি বাহিনী পুরো অঞ্চল জুড়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। গাজার সব এলাকা বিধ্বস্ত হয়েছে। রাস্তা ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে। পুনর্নির্মাণ শুরুর আগে পচা লাশ এবং অবিস্ফোরিত গোলাবারুদের মধ্যে থাকা ধ্বংসস্তূপগুলো সরিয়ে ফেলতে হবে। এতেও প্রায় ১৪ বছর সময় লাগবে বলে আগেই জানিয়েছিল জাতিসংঘ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার পর যদি গাজা ২০০৭-২০২২ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারায় চলতে শুরু করে, সে ক্ষেত্রেও ২০২২ সালপূর্ব (যুদ্ধ-পূর্ব) জিডিপি (গড় প্রবৃদ্ধির হার ০.৪ শতাংশ ধরে) পুনরুদ্ধার করতে উপত্যকার বাসিন্দাদের ৩৫০ বছর লাগবে। এরপরেও জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে মাথাপিছু জিডিপি ক্রমাগত এবং দ্রুতগতিতে হ্রাস পাবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন প্রতিবেদনের জবাবে বলেন, হামাস তাদের লোকদের দখলে রাখলে গাজার মানুষের জন্য কোনও ভবিষ্যৎ নেই।