স্টাফ রিপোর্টার :: সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ষোলঘর পয়েন্টে ড্রেনের নোংরা পানি উপচে উঠে দীর্ঘদিন যাবত জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে আসছে। এতে প্রতিদিন লাখো মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। জানা যায়, এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থানের লাখো মানুষ মূল শহরে প্রবেশ করেন। উপচে উঠা ড্রেনের নোংরা পানিতে কেউ খালি পায়ে, কেউ জুতা পরে লাফিয়ে লাফিয়ে, কেউ বয়সের ভারে ন্যুব্জ ধীরে ধীরে চলতে হচ্ছে। সুস্থ, অসুস্থ সবাই এই সড়ক দিয়ে চলতে হয়। কারণ নদীর উত্তরপাড়ের এবং আমবাড়ি বা দোয়ারাবাজার উপজেলা থেকে আগতদের একমাত্র সড়কপথ ষোলঘর পয়েন্ট হয়ে মূল শহরে আসা। স্থানীয়রা জানান, এই নোংরা পানির উপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করায় নোংরা পানি ছিটকে পড়ে মানুষের গায়ে। এই নোংরা পানি ছিটকে পড়ে সড়ক পার্শ্ববর্তী দোকানে ও মালামালের উপর। এই সড়কে যাতায়াতকারী শিক্ষার্থীর গায়ে নোংরা পানি ছিটে পড়ে। এই নোংরা পানিতে হেঁটে চলতে হচ্ছে নারী, পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষজনকে। এই সমস্যা নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তাদের। স্থানীয় ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান, প্রদীপ বর্মণ, রুনু বৈদ্য, নিয়ামত মিয়া, লিটন বৈদ্য, শফিকুল ইসলাম, বিশ্ব বণিক ও জীবন মিয়া জানান, ড্রেনের উপচে উঠা নোংরা পানি ছিটকে পড়ে আমাদের দোকান ও মালামাল নষ্ট হচ্ছে। এই সমস্যর সমাধান জরুরি প্রয়োজন। পথচারী লিলু মিয়া বলেন, এই নোংরা পানি পায়ে লাগলে চুলকায়। একদিকে নোংরা পানি, অপরদিকে সড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্ত। এই গর্তে গাড়ির চাকা পড়লে পানি ছিটকে গায়ে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে এমন আযাবে আছি। দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলাম বলেন, আমরা গরীব মানুষ পায়ে হেঁটে স্কুলে যাই। এই নোংরা পানি দিয়ে হেঁটে যেতে হয় প্রতিদিন। পায়ে চর্মরোগ দেখা দিয়েছে। এখন চিকিৎসার টাকা পাবো কোথায়? অভিভাবক সুজা মিয়া বলেন, ভাঙা সড়কে জমে থাকা ড্রেনের নোংরা পানিতে যানবাহন চলাচলে যেমন বিপদ, তেমনি সড়কে চলাচলকারীরাও বিপদের সম্মুখীন। সিএনজি চালক স্বাধীন মিয়া বলেন, নোংরা পানিতে গাড়ি যখন চালাই, তখন সবাই বলেন আস্তে চালাও। তবুও পানি ছিটে পড়ে মানুষের গায়ে ও দোকানপাটে। ভাঙা সড়ক থাকায় পানি ছিটে বেশি। ড্রেন এবং সড়কটি সংস্কার জরুরি। চাইল্ড কেয়ার একাডেমির অধ্যক্ষ মো. রুহুল আমিন বলেন, আমার একাডেমির কয়েকশত শিক্ষার্থী এই নোংরা পানি মাড়িয়ে একাডেমিতে আসা-যাওয়া করে। অভিভাকগণ আমাকে বলছেন নোংরা পানি প্রতিরোধে কিছু একটা করার। কিন্তু আমি এই সমস্যা নিরসনের জন্য গত তিনদিন আগে পৌরসভায় আবেদন দিয়েছি। এখনও কোনো কাজ হচ্ছে না। সুনামগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী কালী কৃষ্ণ পাল বলেন, শহরের ষোলঘর পয়েন্টে উপচে উঠা ড্রেনের পানি জমে থাকার বিষয়টি জেনেছি। খুব শীঘ্রই এখানের ড্রেনের সংস্কার কাজ শুরু হবে। আপাতত মানুষ নিরাপদে চলাচলের জন্য ভাল করে ড্রেন পরিষ্কারের ব্যবস্থা করা হবে।