মাহমুদুর রহমান তারেক, যুক্তরাজ্য ::
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে ফিরছেন যুক্তরাজ্য বিএনপি’র নেতারা। তাদের কেউ এক যুগ, কেউ দেড় যুগ পর দেশে ফিরছেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অবস্থানের কারণে বিএনপি’র রাজনীতিতে যুক্তরাজ্যের ‘লন্ডন’ ছিল বারবার আলোচনায়। বাংলাদেশের পর বিএনপি’র রাজনীতি সবচেয়ে বেশি সরগরম ছিল লন্ডন। কেন্দ্রীয় সব কর্মসূচি ঢাকার পাশাপাশি লন্ডনে বড় পরিসরে পালিত হত। অনেক কর্মসূচিতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও এসে যোগ দিতেন। বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত থাকায় অনেকেই গেল এক যুগ, দেড় যুগ দেশে আসতে পারেন নি। অনেকের পাসপোর্টও আটকে থাকাসহ নানা জটিলতা ছিল। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ধীরে ধীরে দেশে ফিরতে শুরু করেছেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এর মধ্যে গত ১৩ অক্টোবর দেশে ফিরেছেন যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সভাপতি এমএ মালেক। তিনি প্রায় ১৯ বছর পর দেশে ফিরেছেন। বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ বিএনপি নেতাকর্মীরা তাকে ঢাকায় স্বাগত জানান। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নানা বক্তব্য দিয়ে গত এক যুগ আলোচনায় ছিলেন এম এ মালেক।
এম এ মালেক বলেন, আমি দীর্ঘ ১৯ বছর দেশে আসতে পারিনি। আমি অবৈধ শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে আপোষ করিনি। আপোষ না করায় দেশে আসতে পারিনি। তিনি জানান, আমি দেশনেত্রী বেগম বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। উনি আমাকে সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন, এখন দেশের বাইরে যাওয়ার দরকার নাই, দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য কাজ করার। আমি উনার নির্দেশ পালন করার চেষ্টা করবো। ভবিষ্যতে যদি সুযোগ পাই এবং দল সিদ্ধান্ত দেয় তাহলে সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা-ফেঞ্চুগঞ্জ) আসনে থাকতে চাই।
এদিকে যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমদও দেশে ফিরেছেন। তিনিও ১৭ বছর পর দেশে ফিরেছেন। তাকেও ঢাকায় দলীয় নেতাকর্মীরা স্বাগত জানান। তাঁর সঙ্গে যুক্তরাজ্য বিএনপি’র আরও ৮৫ নেতাকর্মী দেশে ফিরেন।
এর আগে দেশে ফিরেছেন যুক্তরাজ্য বিএনপি’র যুগ্ম সম্পাদক মিসবাহুজ্জামান সুহেল, যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসবক দলের সভাপতি নাসির আহমদ শাহিন, লন্ডন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক শেখ ছাদেক, যুক্তরাজ্য যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক দেওয়ান মোকাদ্দেম চৌধুরী নিয়াজসহ অনেকেই।
সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মল্লিক মঈন উদ্দিন সুহেল জানান, বিগত দিনে আওয়ামী লীগের রোষানলে পড়ে দীর্ঘদিন কয়ছর এম আহমদ দেশে আসতে পারেন নি। তাঁর আগমনে আমাদের ব্যাপক প্রস্তুতি ছিল, দলীয় কিছু নির্দেশনার কারণে তেমন আয়োজন করা হচ্ছে না। শুধু তাকে সংবর্ধনা দেয়ার আয়োজন করা হয়েছে।