সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
শেখ হাসিনাকে দেশে এসে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, অতীতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া বক্তব্যগুলো এক্সামিন করলে দেখবেন উনার নিজের বক্তব্য ছিল সাহস থাকলে আদালতে বিচারের মুখোমুখি হতে। এখন আদালতে বিচারের মুখোমুখি হওয়া উনার জন্যও ভালো। এটা উনার দর্শনও ছিল। উনি হয়তো তাই করবেন।
রোববার (২০ অক্টোবর) সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল পুনর্বহাল করে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের রিভিউ নি®পত্তির পর এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন কথা বলেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আইন দ্বারা গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। প্রত্যেক আসামির উচিত আদালতের সামনে এসে বিচারের মুখোমুখি হওয়া। গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল বিষয়ে তিনি বলেন, প্রসিকিউশন যদি আসামির অবস্থান নিশ্চিত হন সেক্ষেত্রে তাকে ফিরিরে আনতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ রয়েছে। ইন্টারপোলের সহযোগিতা নিয়েও ফিরিয়ে আনা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে দেখতে হবে সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে ইন্টারপোলের এখতিয়ার রয়েছে কিনা।
এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান বলেন, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় বহালের মধ্য দিয়ে বিচারবিভাগ স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেল। তিনি বলেন, অবশ্যই আজকের রায়টি বিচার বিভাগের প্রকৃত স্বাধীনতার ক্ষেত্রে মাইলফলক ও ঐতিহাসিক হয়ে থাকবে। আজকের এ রায়ের ফলে বিচারবিভাগ স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালনের একটা জায়গায় গেলো এবং বিচারবিভাগ দুর্বৃত্তায়ন ও রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এলো।
বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছ থেকে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাছে ফেরা প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের ওপর ঐতিহাসিক একটি দায়িত্ব অর্পিত হলো। বলেন, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর রায় 'রিভিউ' আবেদন অনেক আগেই ফাইল করা হয়। রিভিউতে ৯৪ টি গ্রাউন্ড পেশ করা হয়। আমরা এই ৯৪ টি গ্রাউন্ড এক্সামিন করেছি, পূর্ণাঙ্গভাবে পড়েছি। আমাদের কাছে মনে হয়েছে ৯৪টি গ্রাউন্ডের মধ্যে একটি গ্রাউন্ডও মামলা রিভিউ হওয়ার মতো গুড গ্রাউন্ড না। আমরা আদালতকে বলেছি এ গ্রাউন্ডগুলো আমরা উপস্থাপন করবো না।