
স্টাফ রিপোর্টার ::
শাল্লা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালামের দুর্নীতি নিয়ে গত ১১ জুলাই সিলেট ও সুনামগঞ্জের বেশক’টি পত্রিকায় একাধিকবার সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশিত হয় জাতীয় পত্রিকা দৈনিক কালেরকণ্ঠেও। এরপরই শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম তার দুর্নীতিকে ধামাচাপা দিতে উঠেপড়ে লেগে যান। উপজেলা এলজিইডির উপ সহকারী প্রকৌশলী নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে একটি সংবাদের প্রসঙ্গ টেনে এনে তিনি বলেন, ওইযে নুরুজ্জামানের বিষয়টি নিয়ে মানুষ বলতেছে কী হলো, কী হলো? তারপর একটা মামলা দিছে, ঠিক হইয়া গেছে। সাংবাদিকদের কেমনে সাইজ করতে হয়, তা আমি ভাল করে জানি। তার এ বিতর্কিত মন্তব্যের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে শিক্ষা কর্মকর্তার এমন মন্তব্যের সমালোচনার ঝড় উঠে।
এ বিষয়ে ২০ অক্টোবর (রোববার) উপজেলার ক’জন সংবাদকর্মী শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান। সাংবাদিকদের নিয়ে তার এমন বিতর্কিত মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে, প্রথমে ঘটনাটিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেন তিনি। পরে সাংবাদিকদের তোপের মুখে পড়ে স্বীকার করেন এই মন্দব্যটি তার। এরপূর্বে একটি সংবাদে তিনি সাংবাদিকদের সম্পর্কে এমন হুমকি স্বরূপ মন্তব্য করেননি বলে দাবি করেন তিনি।
অবশেষে তার এই মন্তব্যের জন্য সাংবাদিকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম। তিনি বলেন, পরিস্থিতির কারণে এমন একটি মন্তব্য করে ফেলেছেন। তবে অডিওটির মধ্যে আরও অনেক কথা ছিল। প্রকাশ করা হয়েছে শুধু এই অংশটি।
এ বিষয়ে শাল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি জয়ন্ত সেন বলেন, শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালামের এমন ঘৃণ্য মন্তব্যই প্রমাণ করে তিনি কতটা দাম্ভিক। শুধু তাই নয়, তিনি নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে যুক্ত রয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন খোদ শিক্ষকরাই। কিন্তু ভয়ভীতি দেখিয়ে শিক্ষকদের মুখ বন্ধ রেখেছেন তিনি। তার দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় সুনামগঞ্জ জেলা ও উপজেলার দুইজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে মামলা দায়ের করেছেন তিনি। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের পাশাপাশি সাংবাদিকদের নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্যের জন্য তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহনলাল দাস বলেন, সাংবাদিকদের সাইজ করতে পারেন - এটা কোনো সুস্থ মানুষের কথা নয়। এটা অসুস্থ মানুষের কথা, এগুলো পাগলের কথা। তাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করা দরকার। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান তিনি।