সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগে রাজধানীর খিলক্ষেত থানার রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) আরও দুই কর্মকর্তাকে ২ দিন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আখতারুজ্জামান রিমান্ডে নেওয়ার এই নির্দেশ দেন। যাদের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে তারা হলেন লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আলী হাসান মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম (৪৮) ও ব্রাক্ষণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (আইটি) এস কে শাকিল আহমেদ (৩১)।
শনিবার বিকেলে তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। মামলা দুটির তদন্ত কর্মকর্তা খিলক্ষেত থানার পরিদর্শক আশিকুর রহমান দেওয়ান তাদের ১০দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। তাদের পক্ষে আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর পিপি ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত শুক্রবার এই দুই কর্মকর্তাকে আটক করে ঢাকায় আনা হয়। পরে তাদের মামলায় গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়।
এর আগে গত শুক্রবার মুন্সিগঞ্জের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার রাজন কুমার দাস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া, কুমিল্লার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার দীপক কুমার সিংহ, মাগুরার শ্রীপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রাহাত, নেত্রকোণার সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মনির হোসেন ও সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর বেলাল হোসেন এই ছয় কর্মকর্তাকে ৩ দিন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়। এদের মধ্যে পাঁচজন এক মামলার আসামি। বেলাল হোসেন অন্য একটি মামলার আসামি। শনিবারের রিমান্ডে পাঠানো দুই কর্মকর্তাকে একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগে ১৭ অক্টোবর খিলক্ষেত থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড খিলক্ষেত থানার পরিচালক প্রশাসন (আইন শাখার) আরশাদ হোসেন। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ ও সাইবার নিরাপত্তা আইনের অভিযোগ আনা হয়েছে।