স্টাফ রিপোর্টার ::
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের অপসারণ না করার দাবিতে সুনামগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের কাজির পয়েন্টে সুনামগঞ্জ চেয়ারম্যান এসোসিয়েশন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এই দাবি জানানো হয়। এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা চেয়ারম্যান এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ফ্যাসিবাদের দোসররা পালিয়ে গেলেও চেয়ারম্যান-মেম্বাররা জনগণের পাশে থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সমস্ত নির্দেশনা পালন করে যাচ্ছেন। দ্বিতীয় স্বাধীন বাংলাদেশে জনগণের প্রাপ্য সকল সরকারি সেবা তৃণমূলে পৌঁছে দিতে তারা বদ্ধপরিকর। বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, সরকার ইউনিয়ন পরিষদ ভেঙে দিয়ে প্রশাসক নিয়োগ দেয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে। এতে ভেঙে পড়তে পারে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম ও সরকারের জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন উদ্যোগ। সেইসাথে তৃণমূলের নাগরিক সেবাও ব্যাহত হবে বলে মনে করেন তারা।
তাদের দাবি, গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্দেশনায় রাষ্ট্র সংস্কারে কাজ করছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। চেয়ারম্যান-মেম্বার অপসারণ হলে নাগরিক সেবা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি গ্রামীণ জীবন ব্যবস্থায় স্থবিরতা নেমে আসবে।
যাচাই-বাছাই করে জনবান্ধব জনপ্রতিনিধিদের বহাল রেখে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে বলা হয়, ইউনিয়ন পরিষদ ভেঙে দেয়া হলে জন্মনিবন্ধন, মৃত্যুনিবন্ধন, ওয়ারিশান সার্টিফিকেট, প্রত্যয়নপত্র, নাগরিকত্ব সনদপত্র, ট্রেড লাইসেন্স, বিভিন্ন ভাতাদি ও সরকারের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কার্ড পেতে জনসাধারণের ভোগান্তি বাড়বে। সামাজিক ন্যায়বিচার বাধাগ্রস্ত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাই, আব্দুল ওয়াদুদ, নূরুল হক, শাহীনুর রহমান, আমির হোসেন রেজা, আব্দুল বাছিত সুজন, জহিরুল ইসলাম, মোকাররম হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।