
মধ্যনগর প্রতিনিধি ::
ধর্মপাশা সরকারি ডিগ্রি কলেজের হিসাব নং ২৫৩০ এর ২০১৯ -২০২২ সেশনের ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি ও আনুষাঙ্গিক জমাকৃত টাকা সরকারি কৃষি ব্যাংকের সিল ও স্বাক্ষর জাল করে দুই লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, ধর্মপাশা শাখা ব্যবস্থাপক পুলক ঘোষ উক্ত বিষয়ের উপর তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন প্রদান করেছেন। যার স্মারক নং প্রশা ০৩ /২০২৩ -২০২৪ /১৯০, তারিখ: ০১.১০.২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ। এই প্রতিবেদনে ১৫১টি রশিদে ব্যাংকের সিল ও স্বাক্ষর জাল করে ২ লক্ষ ৪২ হাজার ২৮০ টাকা জমা দেখানো হয়েছে। যা আদৌ সঠিক নয়। এমনকি সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও টাকা জমার তারিখ পাওয়া যায়। শাখা ব্যবস্থাপক বলেন, ব্যাংকের সিল ও স্বাক্ষর জাল করে টাকা রশিদ ব্যবহার করা গুরুতর অপরাধ। এহেন কাজ থেকে বিরত থাকা এবং প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
উল্লেখ্য যে, শিক্ষার্থীরা যাদের নিকট টাকা জমা দিয়েছে তারা হলেন, অত্র কলেজের (১) অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর সুবর্ণা আক্তার (২) অফিস সহায়ক পারভেজ আহমেদ (৩) ইসলামি ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ের প্রভাষক সৈয়দ জিয়াউল হক।
সাবেক অধ্যক্ষ মো. আব্দুল করিম ১২.১২.২০২২ সালে এ বিষয়ে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটির গঠন করে দিয়েছিলেন। তদন্ত কর্মকর্তাগণ তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার আগেই অধ্যক্ষ মো. আব্দুল করিম মারা যান। পূর্বে গঠন করা তিন সদস্য বিশিষ্ট কলেজ প্রদত্ত তদন্ত কমিটি বর্তমানে তদন্ত প্রতিবেদনটি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদকে প্রদান করা হলে তিনি প্রতিবেদনটি গ্রহণ করেননি। তিনি বলেন, আমার আমলে এ কাজ হয়নি। তবে তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ না করায় যারা দুর্নীতির সাথে জড়িত তাদের প্রতি বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদের মৌন সমর্থন রয়েছে বলে মনে করেন তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন ও সহকারী অধ্যাপক বিমান কুমার তালুকদার।
পরে তদন্ত কর্মতাগণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন উক্ত তদন্ত বিষয়ের উপর পুনরায় তিন সদস্যের প্রশাসনিক তদন্ত কমিটি গঠন করেন এবং জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।