স্টাফ রিপোর্টার :: জামালগঞ্জে হতদরিদ্র পরিবারকে সরকারি ঘর দেয়ার নাম করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য উপজেলার ভীমখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মো. নেছার আহমেদ। গত আ.লীগ সরকারের আমলে হতদরিদ্র ৩ টি পরিবারকে সরকারি ঘর দিবে বলে এককালীন ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী পরিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে ঘুরে জানাযায়, ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বড় চাঁনবাড়ি গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে সেলিম আহমদের কাছ থেকে ঘর দেওয়ার কথা বলে ২৫ হাজার টাকা, মৃত আব্দুল্লাহর ছেলে কবির আহমদের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা, আমিরুল হকের ছেলে সুমন মিয়ার কাছ থেকে ৮৫ হাজার টাকা নেন ইউপি সদস্য নেছার আহমেদ। প্রায় দু বছর অতিবাহিত হলেও তাদেরকে কোনো ঘর না দিয়ে সময়ক্ষেপণ করছেন। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী সেলিম আহমেদ জানান, আমি অসহায়, মানুষের বাড়ি কাজ করে কোন রকমে সংসার চালাই। নেছার মেম্বার সরকারি ঘর দেওয়ার কথা বলে ২৫ হাজার টাকা চায়। আমি ধার দেনা করে নেছার মেম্বারকে টাকা দেই। পরে ঘর না পাওয়ায় মেম্বারকে তাগদা দিলে দেই দিচ্ছি বলে সময় নিচ্ছে। এখন আমাদের ভয়-ভীতি দেখায়। তাই মেম্বারের বিরুদ্ধে আমিসহ আরও দুই জন অভিযোগ করি। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মো. নেছার আহমদ বলেন, আমি ঘর দেয়ার কথা বলে কারো কাছ থেকে কোনো টাকা নেইনি। লালবাজারের লিলু মিয়া নামে এক লোক আমাদের এলাকার কয়েকজন অসহায় পরিবারকে ঘর ও টিউবওয়েল দিয়েছে। সেই বিশ্বাসে তারাও লিলু মিয়াকে টাকা দিয়েছে। তবে টাকা দেয়ার সময় আমাকে সাক্ষী রেখেছে। শুধু তারা নয় এলাকার আরো একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকেই লিলু মিয়া টাকা নিয়ে লাপাত্তা। তবে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেছি। সে স্বীকার করেছে খুব শীঘ্রই তাদের টাকা ফেরত দিবে। যার প্রমাণও আমার কাছে আছে। বিষয়টি তদন্ত করে যদি আমি দোষী হই, তাহলে আমার বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া হলে আমি মাথা পেতে নিবো। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুশফিকীন নুর বলেন, অভিযুক্ত এবং অভিযোগকারীদের শুনানির জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। শুনানিতে বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।