স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জের বাজারে সবজির দাম বেড়েই চলেছে। বর্তমানে বাজার মূল্য নিয়ে হতাশায় ভোগছেন ক্রেতারা। এমনকি টাকা দিয়েও সবজি বা ডিম পাচ্ছেন না ক্রেতা সাধারণ। সোমবার শহরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, হাঁসের ডিম প্রতি হালি ৭৫ টাকা, মোরগ ৬০ টাকা। পাশাপাশি দোকানে ডিমের দামেও ৫ টাকা করে পার্থক্য রয়েছে। গত দুই সপ্তাহ আগে ছিল হাঁসের ডিম ৫৫ টাকা প্রতি হালি, ফার্মের মুরগীর ডিম ছিল ৪৫ টাকা প্রতি হালি। কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৫২০ টাকা থেকে ৬শ টাকা।
টমেটো প্রতি কেজি ২৬০ টাকা, আগে ছিল ৯০ টাকা প্রতি কেজি। মুখি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, আগে ছিল ৬০ টাকা। ধুন্দল প্রতি কেজি বতর্মানে ৮০ টাকা, আগে ছিল ৬০ টাকা। কাকরুল প্রতি কেজি ১১০ টাকা করে, আগে ছিল ৬০ টাকা প্রতি কেজি। করলা প্রতি কেজি ১১০ টাকা করে, আগে ছিল ৬০ টাকা প্রতি কেজি। ঝিঙা প্রতি কেজি ১শ টাকা করে, আগে ছিল ৬৫ টাকা। শসা ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা করে প্রতি কেজি, আগে ছিল ৪০ টাকা থেকে ৬০ টাকা করে। বেগুন প্রতি কেজি ১২০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা, আগে প্রতি কেজি ছিল ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা। গাজর ১৬০ টাকা করে প্রতি কেজি, আগে ছিল ৯০ টাকা কেজি মূল্য। বরবটি প্রতি কেজি ১শ টাকা করে, আগে ছিল ৬০ টাকা প্রতি কেজি। আলু প্রতি কেজি ৫৫ টাকা থেকে ৭০ টাকা, আগে ছিল প্রতি কেজি আলু ৫০ টাকা থেকে ৬৫ টাকা। লাউ প্রতি পিস ৭৫ টাকা থেকে ৮০ টাকা, আগে ছিল ৪০ টাকা থেকে ৬০ টাকা। লতা প্রতি কেজি ৭০ টাকা, আগে ছিল ৬০ টাকা করে প্রতি কেজি।
বাজারে আসা ক্রেতা শফিক মিয়া বলেন, সবজির বাজার চড়া। টাকা দিয়েও পণ্য পাওয়া যায় না। কাঁচামরিচের মারাত্মক দাম। তবুও পাওয়া যায় না। বাজারে ডিমও সংকট।
ক্রেতা আব্দুল জব্বার বলেন, বাজারে যে সবজি পাওয়া যায়, তা অর্ধেক পঁচা। বাজারে হঠাৎ ডিম উধাও। সবজি, ডিম, কাঁচামরিচ ও টমেটো এখন দুষ্প্রাপ্য।
খুচরা ব্যবসায়ী মো. ছমরু মিয়া বলেন, ভালো সবজি আমদানি করা সম্ভব হয় না। বাইরে থেকে যা আসে তাই কিনে বিক্রি করি। আগের মতো বাইরে থেকে সবজিও আসে না।
ব্যবসায়ী মো. দিদার মিয়া বলেন, আমরা আমদানিকৃত সবজি বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করি।
ব্যবসায়ী মো. আব্দুল কাদির বলেন, সবজির আমদানি নেই, তাই দাম বেশি। দাম শুনে ক্রেতারা দর কষাকষি করেন। অনেকে রাগ করেন।
ডিমের খুচরা বিক্রেতা টিটু দে বলেন, হাঁসের ডিমের হালি ৭৫ টাকা এবং মোরগের ডিমের হালি ৬০ টাকা করে বিক্রি করছি। কিন্তু পার্থ সারথি চক্রবর্তীর দোকানের সামনেএক দোকানদার বিক্রি করছেন হাঁসের ডিমের হালি ৭০ টাকা এবং মোরগের ডিমের হালি ৫৫ টাকা দরে।
ডিমের পাইকারী ব্যবসায়ী জহির মিয়া বলেন, হাঁসের ডিম প্রতিটি ১৬ টাকা হিসাবে ক্রয় করি। বিক্রি করি সাড়ে ১৬ টাকায়। মুরগীর ডিম কেনা পড়ে প্রতিটি ১৩ টাকা ৭০ পয়সা। বিক্রি করি প্রতিটি ১৪ টাকা করে।
তিনি বলেন, ভোক্তা অধিকার দর দিয়েছে প্রতি ১ শত মুরগীর ডিম ১,১৮৭ টাকা। এই কারণে লাভ নেই তাই আমরা মুরগীর ডিম আমদানি করি না। তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন সুনামগঞ্জের বাজারে বিভিন্ন হোটেল-রেস্টুরেন্ট, বেকারি ও হাসপাতালে প্রায় ১ লাখ মুরগীর ডিম লাগে। যেহেতু আমাদের কোনো লাভ নেই, তাই ফার্মের মুরগীর ডিম আমদানি করা থেকে বিরত রয়েছি।