স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের লামাকাজি এমএ খান সেতুর টোল আদায় বন্ধে আল্টিমেটাম দিয়েছেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা। আগামী ২৬ অক্টোবরের মধ্যে টোল আদায় বন্ধ না করলে ২৭ অক্টোবর থেকে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তারা।
জানাযায়, ১ মাস ৫ দিন পর ওই সেতুতে টোল আদায় বন্ধ থাকার পর গত বুধবার (৯ অক্টোবর) সকাল থেকে টোল আদায় শুরু হয়। বিশ্বনাথ উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় টোল আদায় কার্যক্রম শুরু করে সওজ কর্তৃপক্ষ। তবে এই সেতুতে টোল আদায় বন্ধের দাবি জানিয়েছেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা।
রবিবার এক যুক্ত বিবৃতিতে সুনামগঞ্জ বাস মিনিবাস মাইক্রোবাস মালিক গ্রুপের সাধারণ স¤পাদক মুহাম্মদ জুয়েল মিয়া, সিলেট মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ স¤পাদক আবুল কাসেম, সিলেট মিনিবাস মালিক গ্রুপের সম্পাদক তারেক চৌধুরী, সিলেট শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মইনুল ইসলাম, সুনামগঞ্জ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক, সুনামগঞ্জ শ্রমিক শাখার সভাপতি সেতু মিয়া, বাস শ্রমিক শাখার সভাপতি বশির মিয়া, গোবিন্দগঞ্জ সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সুহেল মিয়া ও সুনামগঞ্জ বাস মালিক সমিতির সাধারণ স¤পাদক জহিরুল ইসলাম বলেন, আগামী ২৬ অক্টোবরের মধ্যে লামাকাজি ব্রিজের টোল আদায় বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় ২৭ অক্টোবর হতে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এমএ খান সেতুর টোল আদায় বন্ধ করে দেন বিক্ষুব্ধরা। গত ৫ আগস্টের পর থেকে এ সেতু থেকে কোনো টোল আদায় হয়নি। গত অক্টোবর থেকে পুনরায় টোল আদায় করা হচ্ছে।
সিলেট সড়ক বিভাগের সরবরাহ করা তথ্যমতে, টোল আদায় করা হয় এমন সেতুর মধ্যে সবচেয়ে পুরনো সেতু হচ্ছে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের বিশ্বনাথ উপজেলায় অবস্থিত লামাকাজি এম এ খান সেতু। ১৯৮৪ সালে নির্মিত সেতুতে ব্যয় হয় ৭ কোটি ৬১ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। ১৯৯০ সালের ৩ আগস্ট থেকে টোল আদায় অব্যাহত রয়েছে। পরিবহন শ্রমিক নেতাদের দাবি, এই সেতু থেকে নির্মাণ ব্যয়ের অন্তত ৭ গুণ বেশি রাজস্ব আদায় হয়ে গেছে। এরপরও টোলমুক্ত হচ্ছে না সেতুটি। তারা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন থেকে এম এ খান সেতুকে টোলমুক্ত করার দাবি জানিয়ে আসছি। কেউ শুনছে না। আন্দোলনেও নেমেছি কাজ হয়নি। আমাদের দাবি টোল আদায় বন্ধ যখন হয়েছে; আর যেন চালু হয় না। তবে কর্তৃপক্ষ আবার টোল আদায় শুরু করেছে। এতে শ্রমিক ও এলাকাবাসী আরো ক্ষুব্ধ হয়েছেন। এ নিয়ে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা আন্দোলনে নামবে।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী আমির হোসেন জানান, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে সিলেটের বিভিন্ন সেতুর টোল প্লাজায় হামলা ও ভাঙচুর হয়েছে। এ কারণে টোল আদায় বন্ধ ছিল। তিনি বলেন, যেসব সেতুর টোল আদায় নিয়ে আপত্তি আছে, সে বিষয়ে সরকারি সিদ্ধান্ত আসতে হবে। সরকার যদি চায় আর রাজস্ব আদায় করবে না, তাহলে করা হবে না। বিষয়টি সরকারের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে।