সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
শুরু হয়েছে হিন্দুসম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। গতকাল ছিল মহাষষ্ঠী। এদিন দেবী দুর্গা শক্তি নিয়ে ভক্তদের কাছে পৌঁছান। বোধনের পর খুলে দেওয়া হয় ম-প। এর মাধ্যমে দেবী জেগে উঠলেন আর তাতে দর্শন করা যাবে দেবীর। বুধবার (৯ অক্টোবর) সকাল থেকেই দেবীকে জাগানোর জন্য ম-পে ম-পে চলেছে পূজা অর্পণ। পুরহিতরা জানান, বোধনের মাধ্যমে দেবী জেগে উঠেছেন। এর মধ্যে দিয়েই দুর্গাপূজা শুরু।
আজ বৃহ¯পতিবার (১০ অক্টোবর) মহাসপ্তমী। শাস্ত্রমতে মহাসপ্তমীতে ষোড়শ উপাচারে (ষোল উপাদানে) দেবীর পূজা হবে। সকালে ত্রিনয়নী দেবী দুর্গার চক্ষুদান করা হবে। একই সঙ্গে দেবীকে আসন, বস্ত্র, নৈবেদ্য, পু®পমাল্য, চন্দন, ধূপ ও দীপ দিয়ে পূজা করবেন ভক্তরা। এ সময় পূজারীরা মায়ের সামনে বসে মায়ের মুখ দর্শন করবেন।
সব মন্দিরেই সকাল থেকে শুরু হবে সপ্তমী পূজার আনুষ্ঠানিকতা। চীও মন্ত্রপাঠের মাধ্যমে পূজা অর্চনা করা হবে। এছাড়াও দিনব্যাপী চীও ও মন্ত্রপাঠের মাধ্যমে পূজা, দেবী-দর্শন, দেবীর পায়ে ভক্তদের অঞ্জলি দেওয়া, প্রসাদ গ্রহণের মাধ্যমে পূজার আনুষ্ঠানিকতা চলবে বলে জানান সর্বজনীন পূজা আয়োজকরা।
দেবী আসার ঘণ্টা বেজে যায় মহালয়ার দিন থেকেই। সনাতন ধর্মমতে, যা কিছু দুঃখ-কষ্টের বিষয়, যেমন-বাধাবিঘœ, ভয়, দুঃখ-শোক, জ্বালা-যন্ত্রণা এসব থেকে ভক্তকে রক্ষা করেন দেবী দুর্গা।
শাস্ত্রকাররা দুর্গা নামের অর্থ করেছেন- দুঃখের দ্বারা যাকে লাভ করা যায়, তিনিই দুর্গা। দেবী দুঃখ দিয়ে মানুষের সহ্য ক্ষমতা পরীক্ষা করেন। তখন অস্থির না হয়ে তাকে ডাকলেই তিনি মানুষের কষ্ট দূর করেন। এ বছর ভক্তদের কষ্ট দূর করতে দেবী দুর্গা এসেছেন দোলায় চড়ে, আর দশমীর দিন বিদায় নেবেন ঘোড়ায় চড়ে।