ধর্মপাশা ও মধ্যনগর প্রতিনিধি ::
বজ্রপাত ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ধর্মপাশা ও মধ্যনগর এই দুই উপজেলায় গত সোমবার (৭ অক্টোবর) রাত ১০টা থেকে গতকাল মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বেলা দুইটা পর্যন্ত ১৬ঘণ্টার মধ্যে ১৫ ঘণ্টাই বিদ্যুৎ ছিল না। এ অবস্থায় এই দুটি উপজেলার ৫১ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক ও বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল নি¤œ আয়ের মানুষজনকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলাটি নেত্রকোণা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অধীন। গত সোমবার রাত পৌনে ১০টা থেকে ভারী বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়। এ অবস্থায় রাত ১০টা থেকে এই দুটি উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। মঙ্গলবার সকাল সাতটার দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। কিন্তু এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করার পর আবার তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ওইদিন বেলা দুইটা বেজে পাঁচ মিনিটে বিদ্যুৎ সরবরাহ কার্যক্রম শুরু হয়। দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল নি¤œ আয়ের মানুষজনকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
ধর্মপাশা উপজেলার বীর দক্ষিণ গ্রামের বাসিন্দা ব্যাটারিচালিত অটোরিকসা চালক আলামিন মিয়া (৩০) ও মধ্যনগর উপজেলার মধ্যনগর গ্রামের বাসিন্দা ব্যাটারিচালিত অটোরিকসা চালক হাবিবুর রহমান (৪৫) বলেন, কারেন্ট না থাহায় গাড়ি চার্জ করতাম হারছিনা। প্রায়ই এইরহম অইতাছে। কারেন্ট না থাকলেই কামাইরুজি বন্ধ, ধার দেনা কইরা সংসার চালাইতে অয়।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ধর্মপাশা উপকেন্দ্রের ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন, ভারী বৃষ্টি ও বজ্রপাতের কারণে পল্লী বিদ্যুতের ৩৩ কেভি লাইনে বিভিন্ন ফল্ট থাকায় দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল।
নেত্রকোণা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অধীনে থাকা ধর্মপাশা উপজেলা উপ-আঞ্চলিক কার্যালয়ের (এজিএম) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, আমি রবিবার থেকে পারিবারিক কারণে ছুটিতে আছি। পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে আমাদের সব রকম প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।