স্টাফ রিপোর্টার ::
সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক নির্জন কুমার মিত্র। রবিবার (৬ অক্টোবর) সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে জামিন আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। তবে এদিন জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেন বাদীপক্ষের আইনজীবীরা। আদালত উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের জামিন নামঞ্জুর করেন।
এদিকে, গত শনিবার সুনামগঞ্জ কারাগারে অসুস্থ হওয়ার পর এম এ মান্নানকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনার কথা ছিল। তবে সেখানে না নিয়ে তাকে নেওয়া হয়েছে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে। ওই কারাগারেই তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নিরাপত্তা ও শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করার পর তাকে নেওয়া হতে পারে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে, এমনটাই নিশ্চিত করেছে কারাসূত্র।
জানা যায়, গত ৪ আগস্ট সুনামগঞ্জের ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ চলাকালে যে হামলা হয়েছিল তার পরিপ্রেক্ষিতে যে মামলা হয়েছে সেটির এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। পরে গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে শান্তিগঞ্জের নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সাবেক আমলা এম এ মান্নান ২০০৮ সালে প্রথম নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করেন। অবশ্য ২০০৩ সালে চাকরি থেকে অবসরের পর ২০০৫ সালে সুনামগঞ্জ-৩ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে হেরে গিয়েছিলেন এম এ মান্নান। এরপর ২০১৪ সালে দশম এবং ২০১৮ সালে একাদশ নির্বাচনেও জয় পান তিনি।
২০১৪ সালের শুরুতে তাকে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর চার মাস পর তার দায়িত্বে যুক্ত হয় অর্থ মন্ত্রণালয়ও। ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর তাকে করা হয় পরিকল্পনামন্ত্রী।
তিনি টানা চতুর্থবার সংসদ সদস্য হন ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারিতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে। তবে এ মেয়াদে মন্ত্রিসভায় রাখা হয়নি এম এ মান্নানকে। তবে তাকে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়।