সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
ক্ষমতাচ্যুত সরকারের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও তৎকালীন ডিবির প্রধান হারুন অর রশীদের বিষয়ে তথ্য পেলেই গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছে র্যাব। রোববার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস।
আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাসহ শেখ হাসিনা সরকারের বেশ কয়েকজন এমপি-মন্ত্রী ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন। আন্দোলনে বিগত সরকারের সবচেয়ে আলোচিত, বিতর্কিত ব্যক্তি ওবায়দুল কাদের, নানক ও হারুনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে চাইলে র্যাবের মুখপাত্র বলেন, তাদের বিষয় আমাদের কাজ চলছে। তথ্য পেলেই গ্রেপ্তার করা হবে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর র্যাব কখনোই প্রাণঘাতী গুলি ব্যবহার করেনি বলে দাবি করেছেন র্যাবের এ মুখপাত্র।
পুলিশের ৯০ জনের বেশি কর্মকর্তা এজাহারভুক্ত আসামি। র্যাবের মধ্যে এমন কেউ আসামি হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের র্যাবের কোনো সদস্য পালিয়ে যায়নি। অন্যান্য বাহিনীতে হলেও র্যাবের কোনো সদস্য কর্মবিরতিতে যায়নি। র্যাবে ৮টি বাহিনী থেকে সদস্য আসে। র্যাবের ১০ হাজার সদস্যের মধ্যে প্রায় ৪৪ ভাগ পুলিশ বাহিনী থেকে এসেছে। র্যাবে কোনো সমস্যা ছিল না। ছাত্র-জনতার ওপর র্যাব কখনোই মারণাস্ত্রের গুলি ব্যবহার করেনি। আমরা ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সঙ্গে ছিলাম এবং অভ্যুত্থান সফল করতে কাজ করে যাচ্ছি।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গণহত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে র্যাবের ভূমিকা জানতে চাইলে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ৫ আগস্টের পরে এখন পর্যন্ত র্যাব ১ হাজার ৭০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে সরকারের উচ্চপর্যায়ের ৩৯ জন রয়েছেন। পাশাপাশি অস্ত্র হাতে ছাত্র-জনতার ওপর গুলির ঘটনায় ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাদের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।