স্টাফ রিপোর্টার ::
‘শিক্ষকের কণ্ঠস্বর : শিক্ষায় নতুন সামাজিক অঙ্গীকার’ প্রতিপাদ্য নিয়ে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (বাকবিশিস) সুনামগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে শোভাযাত্রা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১১টায় সুনামগঞ্জ ঐতিহ্য জাদুঘর প্রাঙ্গণ থেকে শোভাযাত্রা শুরু করে আলফাত স্কয়ারে (ট্রাফিক পয়েন্ট) সমাবেশে মিলিত হয়।
বাকবিশিস সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি সহকারী অধ্যাপক শুভঙ্কর তালুকদার মান্নার সভাপতিত্বে ও সাধারণ স¤পাদক জ্যেষ্ঠ প্রভাষক মো. জামাল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাকবিশিস সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি সহকারী অধ্যাপক রামানুজ রায়, সহ-সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক শাহিনা চৌধুরী রুবী, সাংগঠনিক প্রভাষক স¤পাদক দুলাল মিয়া, অর্থ স¤পাদক প্রভাষক কাঞ্চন বৈদ্য, প্রচার স¤পাদক সহকারী অধ্যাপক রজত কান্তি রায়, শিক্ষক নেতা প্রভাষক মো. হাবিবুল্লা আসকির তালুকদার, মো. মোছায়েল আহমদ, মো. সাজাউর রহমান, মো. হেলাল আহমদ ও জয়ন্ত পাল।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাকবিশিস সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সদস্য প্রভাষক হিমাদ্রি শংকর তালুকদার, প্রভাষক মো. রুহুল আমীন, বিনয় ভূষণ তালুকদার, প্রভাষক মো. ছায়েদুল ইসলাম, দিলীপ কুমার দাশ, স্বপন রায়, মো. সাইকুল শাকিল রিপন, গৌতম পাল, মো. কবির হোসেন, মো. সিফাত আহমেদ, শুভ দেব, মিঠুন তালুকদার, রিংকু চৌহান, মো. বদরুল আলম, অমিত কর, জাহিদ হোসেন, দিবাকর তালুকদার, বিদ্যুৎ তালুকদার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আজ বিশ্ব শিক্ষক দিবস। শিক্ষকদের জন্য দিবসটি নিঃসন্দেহে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। শিক্ষকদের অসামান্য অবদানকে স্মরণ করার জন্য এ দিনটিকে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালন করা হয়। আজকের এ দিনে বিশ্বের সকল শিক্ষকদের প্রতি সম্মান জানাচ্ছি। শিক্ষার বৈষম্য দূরীকরণে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের কোনা বিকল্প নেই। এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরির ক্ষেত্রে বিরাজমান সকল বৈষম্য দূর করে অবিলম্বে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ করতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, শিক্ষাব্যবস্থায় বিভিন্ন বৈষম্যের কারণে সৃজনশীল ও মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আসতে চাচ্ছেন না। শিক্ষকের মানোন্নয়ন ছাড়া শিক্ষার মান উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই শিক্ষাব্যবস্থার সকল বৈষম্য ও দুর্নীতি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। জাতীয়করণের আগপর্যন্ত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদেরকে সরকারি চাকরিজীবীদের ন্যায় বাড়িভাড়া, উৎসবভাতা, শিক্ষাভাতা, স্বাস্থ্য ও দুর্ঘটনা বীমা, যাতায়াত ভাতা, টিফিন ভাতা, শ্রান্তি বিনোদন ভাতা, হাওর ভাতা, পাহাড়ি ও দুর্গম ভাতা, উপকূলীয় ভাতা, প্রমোশন, বদলি ও চাকরি থেকে অবসরের পর পেনশনসহ রাষ্ট্র প্রদত্ত সকল সুযোগ-সুবিধা প্রদানের নিশ্চয়তা দিতে হবে।
বক্তারা এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা এই মাস থেকে ইএফটি’র মাধ্যমে প্রদান শুরু করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং সকল এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই ইএফটি’র মাধ্যমে প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।