সুনামকণ্ঠ ডেস্ক :: সারাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন ও মন্দিরে হামলার ঘটনায় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোট। জোটের পক্ষ থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তি, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থাসহ আট দফা দাবি তুলে ধরে তা দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়েছে। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত গণসমাবেশ থেকে এ আহ্বান জানানো হয়। অধ্যাপক ধীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নির্মল বিশ্বাসের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তৃতা করেন চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ভাবনামৃত সংঘ (ইস্কন) সাধারণ স¤পাদক লীলারাজ ব্রহ্মচারী, চট্টগ্রাম পুন্ড্ররিক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারী, সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোটের প্রতিনিধি প্রসেঞ্জিত কুমার হালদার, নির্মল বিশ্বাস ও প্রদীপ কান্তি দে, সনাতনী অধিকার আন্দোলনের প্রতিনিধি সাজেন কৃষ্ণ বল, সচেতন সনাতনী নাগরিকের অ্যাডভোকেট সুশান্ত অধিকারী, হিন্দু পরিষদের সভাপতি দিপঙ্কর সিকদার দীপু ও মুখপাত্র সাজন কুমার মিশ্র, সনাতন পার্টির সভাপতি আশীষ চন্দ্র দাশ ও সাধারণ স¤পাদক অ্যাডভোকেট সুমন কুমার রায়, জাতীয় হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী মহাসচিব পলাশ কান্তি দে ও সাধারণ স¤পাদক সুশান্ত অধিকারী, বিশ্ব হিন্দু ফেডারেশনের মহাসচিব শ্যামল কান্তি নাগ, সারদাঞ্জলী ফোরামের মহানগর সভাপতি রতন চন্দ্র পাল ও কেন্দ্রীয় সাধারণ স¤পাদক লিটন পাল। রাজধানী ও দেশের বিভিন্ন স্থানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের পাশাপাশি হিন্দুধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন উপাসনালয়ের ধর্মীয়গুরু, মহারাজ, ছাত্র-শিক্ষক, আইনজীবী, প্রকৌশলী, চিকিৎসক, সাংবাদিক, হরিজন, ঋষি, রাজবংশীসহ সর্বস্তরের প্রতিনিধিরা সমাবেশে উপস্থিত হন। দুপুরের পর রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যানার-প্লাকার্ড হাতে মিছিল নিয়ে জড়ো হন তারা। সাড়ে তিনটার দিকে শঙ্খ বাজিয়ে সমাবেশ শুরু করা হয়। বৃষ্টি উপেক্ষা করে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই সমাবেশ চলে। সমাবেশ থেকে আগামী ২৬ অক্টোবর চট্টগ্রাম লাল দিঘি ময়দানে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশের ঘোষণা দেন অ্যাডভোকেট সুমন কুমার রায়। সমাবেশে বক্তরা, গত ৫ আগস্টের পর থেকে সারাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন, বাসা-বাড়িতে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও নারীদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনেন। ভবিষ্যতে যাতে সংখ্যালঘুদের ওপর কোনো দমন পীড়ন না হয় সে বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। সেই লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার কাছে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন, সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন, দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন, দুর্গাপূজায় পাঁচদিন ছুটিসহ বিভিন্ন দাবিও জানান তারা।