স্টাফ রিপোর্টার ::
শান্তিগঞ্জ উপজেলার দরগাপশা গ্রামের সৈয়দ হাবিব আলী হত্যা ও ডাকাতি মামলার দুইজনকে যাবজ্জীবন ও চার আসামিকে ১০ বছরের কারাদ- দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (প্রথম) আদালতের বিচারক তেহসিন ইফতেখার। সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদ- প্রদান করা হয়েছে। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন লালন মিয়া (৩৫) ও নাজমুল আলী (৪০)। এছাড়া ওই মামলায় দিলজার, রোকন, জগলুল, টিপু, আক্কাস, জুয়েল, স্বাধীন, হাসান, হানিফ, মনা নামের আসামিরা খালাস পান।
বুধবার বিকেলে আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করা হয়।
মামলাসূত্রে জানাযায়, ২০১০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাত তিনটায় তৎকালীন দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার (বর্তমান শান্তিগঞ্জ) দরগাপাশা গ্রামের সৈয়দ হাবিব আলীর বাড়িতে বাড়ির বাইরের দরজা জোরপূর্বক খুলে ঘরে প্রবেশ করে একদল ডাকাত। ডাকাতদল দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বাড়ির লোকজনকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। ঘটনার সময় সৈয়দ আলী (৬৫) ডাকাত দলকে বাঁধা দিলে ডাকাতরা তার মুখে কাপড় গুঁজে হাত পা বেঁধে বাড়ির এক কোণে ফেলে রাখে। ডাকাতরা চলে যাওয়ার পর এলাকাবাসী ও স্বজনরা সৈয়দ হাবিব আলীকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। এঘটনায় সৈয়দ হাবিব আলীর ভাই সৈয়দ নজিব আলী বাদী হয়ে সাজাপ্রাপ্ত ও খালাসপ্রাপ্ত আসামিসহ মোট ১৮ জনকে আসামি করে ১৯ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানায় একটি হত্যা ও ডাকতি মামলা দায়ের করেন। মামলা বিচারাধীনকালে একজন আসামি মারা যান।
দায়ের করা মামলায় ১০ জনের সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে আদালত এ রায় প্রদান করেন। ৩১ মে ২০১০ তারিখে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ঘটনার দীর্ঘ ১৫ বছর পরে আদালতের বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার আলোচিত এই মামলার রায় প্রদান করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী সুহেল আহমদ ছৈল মিয়া জানান, আদালতে বাদী পক্ষ ন্যায়বিচার পেয়েছেন।
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী মতিউর রহমান পীর জানান, আদালতের রায়ে আসামি পক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেননি। তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের আদালতের নির্দেশে সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।