সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ছয় সংস্কার কমিশনের রিপোর্টের পরে দেওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে অংশগ্রহণ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।
তৌহিদ হোসেন বলেন, ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে এবং তাদের তিন মাস সময় দেওয়া হয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে তারা ডিসেম্বরের শেষে অথবা জানুয়ারির শুরুতে তাদের সুপারিশগুলো দেবে। আরও কিছু স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন আছে। তখনই কিন্তু রোডম্যাপ ঠিক করা যাবে। তার আগে রোডম্যাপ ঠিক করা যাবে না।
নির্বাচন কবে হবে এ বিষয়ে বিদেশিরা জানতে চেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবার সঙ্গে আমরা বিষয়গুলো এমনভাবে উপস্থাপন করেছি যে তাদের বেশি কিছু বলার ছিল না। আমরা তাদের প্রেক্ষাপট বলেছি। এ সরকার আসতে চায়নি এবং নিজে থেকে আসেনি।
যুব সম্প্রদায় কিছু জিনিস চায় এবং তারা এমন একটি ব্যবস্থা চায়, যেখানে স্বৈরাচারী সরকার প্রতিষ্ঠিত হতে না পারে। অন্যান্য ক্ষেত্রেও তারা সংস্কার চায়। আমাদের এজেন্ডার সঙ্গে তাদের চাওয়া মেলে। আমরা গোটা বিষয়টি তাদের খুলে বলেছি এবং জানিয়েছি এরপরে নির্বাচন দিয়ে আমরা এখান থেকে সরে যাবো, যুক্ত করেন তিনি।
উপদেষ্টা আরও বলেন, আমাদের সঙ্গে বিভিন্ন বাংলাদেশি গ্রুপের কথা হয়েছে এবং সবাই জোর দিয়েছে যে আমরা যেন তাড়াহুড়ো না করি।
যুক্তরাষ্ট্র সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই সফরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কারণ বিশ্ব সম্প্রদায়ের সবাই প্রফেসর ইউনূসের কাছে শুনতে চাইছিলেন যে কী ঘটছে বাংলাদেশে এবং তার পরিকল্পনা কী। এটি আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে এর আগে বলেছি। কিন্তু তিনি সরাসরি হাজির হয়ে বলা এবং অন্য মাধ্যমে বার্তা পাঠানোর মধ্যে পার্থক্য আছে। আমরা জানি হঠাৎ করে কিছু অর্জিত হয়ে যায় না। আমি এটুকু বলতে পারি যে যারা দেখা করেছেন এবং যারা এককভাবে দেখা করেননি তারা সবাই বাংলাদেশকে এই মুহূর্তে সার্বিকভাবে সহায়তার কথা বলেছেন এবং জানতে চেয়েছেন তারা কী করতে পারেন, উপদেষ্টা জানান।
রোহিঙ্গা সমস্যার বিষয়ে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান নিহিত সীমান্তের ওপারে। সমাধান আমাদের এখানে নেই। আমরা তাদের আশ্রয় দিয়েছি। তারা যাতে মানবিক জীবনযাপন করতে পারে, সেজন্য তাদের সহায়তা করা হচ্ছে এবং আমরাও সহায়তা করছি। কিন্তু সমাধান মিয়ানমারে রয়েছে। তাদের ফিরে যেতে হবে এবং এর জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরির বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে চাপ সৃষ্টি করতে হবে।